খোলা বাজার২৪ বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০১৫
ভারতে গরুর মাংস খাওয়ার গুজবে দাদরির ৫০ বছরের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারার ৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে কেন্দ্রীয় সরকারের দুই মন্ত্রী মুখ খুললেন। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিজেপি সরকারের এই দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী মনে করেন ভারতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা একটি হুমকিতে পরিণত হয়ছে। মঙ্গলবার রাজনাথ সিং ভারতের একটি অনুষ্ঠানে বলেন, ভারতে পিটিয়ে হত্যা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এটি আর সহ্য করা হবে না। এর আগে সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই ঘটনার জন্য ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে যারা সীমা লঙ্ঘন করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন। পিটিয়ে হত্যার কারণ দর্শানোর জন্য তার মন্ত্রণালয় উত্তর প্রদেশের সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে বলেও রাজনাথ জানান। রাজনাথ হুঁশিয়ারি উ”চারণ করে বলেন, সাম্প্রদায়িক দুর্ঘটনার জন্য ভারতের সম্প্রতি বিনষ্ট হচ্ছে। দেশে কোন ধর্মীয় হুমকি সহ্য করা হবে না। সমাজে প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যে সামাজিক বন্ধন বজায় রাখতে হবে। যে ধর্মেরই হোক না কেন। এদিকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম এনডিটিভিকে জানান এই ধরনের দুর্ঘটনা দেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। একই সঙ্গে নীতি নির্ধারণে বাধা দিচ্ছে। নিউইয়র্কে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ভারত একটি পরিপক্ক সমাজের দেশ হিসেবে বিশ্বে সমাদ্রিত। যারা গুজবের মাধ্যমে দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে তাদের কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। এ অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা ও দুর্ভাগ্য রোধ করতে ভারতের প্রতিটি নাগরিককে কাজ করতে হবে। উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের পদত্যাগ দাবি করে আসছেন। ভারতের রাজনৈতিক দল এআইএমআইএম’র প্রধান আসাদ উদ্দিন ওয়াসি জাতিসংঘে অভিযোগ করার বিষয়ে সমাজবাদী পার্টি নেতা আজম খানের উদ্যোগের বিরোধিতা করায় তাদের নেতাদের কড়া সমালোচনা করেন। সমাজবাদী দলের প্রধান মালয় সিং এ উদ্যোগকে আপত্তি জানান। তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘে অভিযোগ করার কিছু নেই। এটি ভারতের হিন্দু ও মুসলিমদের সংকট। এ সংকট ভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে নয়। এর আগে দিল্লির মখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাদরিতে পিটিয়ে মানুষ হত্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরব থাকার জন্য সমালোচনা করেন। এএপি নেতা আশুতোষ রায় বিজেপির যে নেতারা ওই হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় মোদির তীব্র সমালোচনা করেন। দ্য স্টেটসম্যান