Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

FGHDFHDFHখোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৫ স্বাস্থ্য ডেস্ক : আয়ুর্বেদিক উপাদান হিসেবে চিরতা পরিচিত একটি নাম। ওষুধি গুণাগুণের জন্য অতি প্রাচীনকাল থেকেই এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিতা স্বাদের চিরতার পাতা, ডাল ও কাণ্ড সবই ব্যবহৃত হয়। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক- উভয় অংশের রোগ নিরাময়ে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

ব্যবহার
সাধারণত চিরতা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে সে পানি পান করা হয়। প্রাচীন ভারতে এটি ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। নিয়মিত সকালে খালি পেটে চিরতার পানি পান করলে পেট পরিষ্কার থাকে।
কার্যকারিতা
চিরতা শরীরের বিভিন্ন অংশের জ্বালাপোড়া দূর করে। জ্বর, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্যানসার, পাইলস, চর্মরোগ ও অন্ত্রের কৃমি দূর করে। একইসঙ্গে চিরতা লিভার ও পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বাড়ায়, ক্ষুধা উদ্দীপক এবং হজমে সহায়তা করে।

ত্বকের যে কোনো সমস্যা যেমন- ব্রণ, ইনফেকশন, জ্বালাপোড়া, দাগ, চুলকানি, লালচে ভাব, পোড়াদাগ দূর করতে চিরতার পানি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। যাদের ত্বকে ফুসকুড়ি রয়েছে তারা গোসলের পানিতে চিরতার রস ব্যবহার করতে পারেন।

চিরতা রক্ত থেকে টক্সিন দূর করে ও রক্ত পরিষ্কার করে। ডায়রিয়া ও জন্ডিস নিরাময়ক এ ভেষজ উপাদানটি চোখ, হার্ট এবং অ্যাজমা রোগীদের জন্যও সমান উপকারী।

চিরতার পানি ডায়াবেটিস রোগীদের শারিরীক দ‍ুর্বলতা কাটিয়ে তোলে ও ব্লাড সুগার স্বাভাবিক রাখে।

চিরতার তিক্ততা মুখের লালাগ্রন্থি থেকে লালা নিঃসরণ ও পাচক রস উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে অতিরিক্ত তেষ্টাবোধ ও মাংসপেশির স্ফীতি রোধ হয়।
তবে মনে রাখা দরকার, দিনে একগ্লাসের বেশি চিরতার পানি খাওয়া ঠিক না।