খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর ২০১৫
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের পর এবার সহকারী শিক্ষকরাও বেতন বৈষম্য দূর করাসহ ছয় দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছেন। বুধবার শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার চার ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজ’র সভাপতি শাহীনুর আল আমিন। এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষকদের চারটি সংগঠনের জোট প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফেডারেশনের নেতারা বৃহস্পতিবার সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে দেখা করেন। শাহীনুর বলেন, “আমরা মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবিগুলো নিয়ে গিয়েছিলাম। মন্ত্রী আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। দাবির বিষয়ে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত কমিটির কাছে দেওয়ার বিষয়েও আশ্বস্ত করেছেন। আমরা আশা করি, ওই কমিটি আমাদের দাবির বিষয় বিবেচনা করবে।” ঘোষিত স্কেলে একাদশ গ্রেডে বেতন প্রাপ্তি, যোগ্যতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে বিভাগীয় পরীক্ষার মাধ্যমে মহাপরিচালক পদ পর্যন্ত শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির সুযোগ দেওয়া, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্য ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ অনুযায়ী শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল ঘোষণা এবং সব প্রাথমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালুসহ ছয় দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। কর্মবিরতির মধ্যেও রাজধানীর মহাখালীর আব্দুল হামিদ দর্জী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশ নিচ্ছিলেন শিক্ষকরা (ফাইল ছবি) ৪ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন চার ঘণ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষকরা। এরপর ১০ থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণাও ছিল তাদের। এর আগে মঙ্গলবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা থাকলেও সোমবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আশ্বাসের পর প্রধান শিক্ষকেরা কর্মসূচি স্থগিত করেন। একই দিন মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক হলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন সহকারী শিক্ষকেরা।