খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫ : খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় ১৫৮ জন নেতার বিরুদ্ধে থাকা ৪ হাজার ৩৩১ মামলা নিয়ে উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় পড়েছে বিএনপি। দলটির আশঙ্কা, মামলায় সাজা দিয়ে শীর্ষস্থানীয় ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অযোগ্য করা হতে পারে।
বিএনপির উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা এ তথ্য জানিয়ে বলেন, সহিংসতা, নাশকতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা এসব মামলাকে আগামী নির্বাচনে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। বিচারাধীন মামলার কার্যক্রমের গতি বাড়ানো হয়েছে।
সম্প্রতি বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সারা দেশে দলের নেতা-কর্মীদের মামলার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। বিএনপির দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের ২ আগস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রীয়সহ সারা দেশে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২১ হাজার ৬৮০টি মামলা হয়েছে। এতে আসামির সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৮৭৮ জন। এর মধ্যে খালেদা জিয়াসহ কেন্দ্রীয় ১৫৮ জন নেতার বিরুদ্ধে আছে ৪ হাজার ৩৩১ মামলা। আর দলের স্থায়ী কমিটির ১২ জন সদস্যের বিরুদ্ধেই আছে ২৮৮টি মামলা। এ ছাড়া সারা দেশে গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন ১৭ হাজার ৮৮৫ জন নেতা-কর্মী। অবশ্য গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে আরও ১৪১টি মামলা হয়েছে বলে বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন জানিয়েছেন, মামলার নথিপত্র সংগ্রহে নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে মামলার তথ্য-উপাত্ত সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও পাবনা বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন খান। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের দেড় থেকে দুই শ মামলা ২০০৭ সালে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। বাকিগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত এবং বর্তমান আমলে করা। এগুলোর বেশির ভাগই ২০১৩, ২০১৪ ও চলতি বছরের।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এ বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ওনারা সারা দেশে যে তাণ্ডব চালিয়েছেন, পেট্রলবোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছেন, তার জন্য সব জায়গায় মামলা হয়েছে। এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত এবং যাঁরা হুকুম দিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধের ধারা অনুযায়ী এখন বিচার হবে।’ তবে মামলার সংখ্যা তাঁর জানা নেই।
মামলার তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে আছে ৮৬টি মামলা। দলের ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্যসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলের বিরুদ্ধে ১০১টি মামলা রয়েছে। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ১৩০টি মামলা হয়েছে যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে ৭৮টিতে ইতিমধ্যে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসানের বিরুদ্ধে ৮৮টি, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকারের বিরুদ্ধে ১২২টি মামলা হয়েছে।
এঁদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম জামিনে মুক্তি নিয়ে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিয়ে ফিরেও এসেছেন। রাজিব আহসান কারাগারে, আর হাবিব-উন নবী ও ইসহাক সরকার গা ঢাকা দিয়ে আছেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘প্রতি সরকারি কর্মদিবসে আমাকে গড়ে তিনটি কোর্টে যেতে হয়। অবস্থা এতটাই বেগতিক যে, আইনজীবীরা আমাকে কোর্ট-কাছারি এলাকায় বাসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।’
স্থায়ী কমিটির ১২ নেতার বিরুদ্ধে ২৮৮ মামলা: বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটির সদস্য ১৯ জন। দলীয় সূত্র জানায়, এঁদের মধ্যে একজন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত। বাকি ১৮ জনের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে ২৮৮টি। ৯৭টির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও নাশকতার অভিযোগে ১৯টি মামলা রয়েছে। এর ৯টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে এবং জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৩১ মামলার ১১টিতে এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ৮৬ মামলার ২৪টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ৪৩ মামলা, এম কে আনোয়ার ৩০টি, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২১, রফিকুল ইসলাম মিয়া ১৯, তরিকুল ইসলাম ১২ (সর্বশেষ মামলা ৬ অক্টোবর), আ স ম হান্নান শাহ ১০, মওদুদ আহমদ ৯ আর খন্দকার মোশাররফ হোসেন ৬টি ফৌজদারি মামলার আসামি। নজরুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে দুটি মানহানির মামলা আছে।
মামলামুক্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য হলেন ছয়জন। এঁরা হলেন আর এ গণি, এম শামসুল ইসলাম, সারোয়ারি রহমান, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান ও মাহবুবুর রহমান। প্রথম তিনজন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ।
সাত উপদেষ্টার ১২৪ মামলা: বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসংখ্যা ৩৫। এঁদের মধ্যে ৮-১০ জন সক্রিয় আছেন। কথা বলে এবং তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, ৮ জন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ১২৪টি মামলা হয়েছে। যার ৩১টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
এঁদের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৩টি, সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন ৫ ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী ৩টি মামলার আসামি।
এ ছাড়া ইকবাল হাসান মাহমুদ ৩৭টি, এ জেড এ জাহিদ হোসেন ১৫, আবদুল আউয়াল মিন্টু ১২, শামসুজ্জামান দুদু ১১, শওকত মাহমুদ ৮, শাহজাহান ওমর ৮, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ৩, এম আকবর আলী ৭ এবং জহুরুল ইসলাম ২টি মামলার আসামি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘একেকজনের বিরুদ্ধে যদি ৫০-৬০টি করে মামলা থাকে, তাঁকে তো আদালতে ঘরদুয়ার করে থাকতে হবে। আদালতে ২৮ লাখ মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। কিন্তু সরকারের নজর রাজনৈতিক মামলা। খালেদা জিয়ার মামলা রকেট গতিতে চলছে। এসবের ফল উল্টো হবে।’
৮ ভাইস চেয়ারম্যানের ১৩১ মামলা: দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৩১টিসহ ৮ ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ১৩১টি। ৪৩টির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এঁদের মধ্যে সাদেক হোসেন খোকার ৪২টি, আবদুল্লাহ আল নোমানের ১৩, সেলিমা রহমানের ১১, শমসের মবিন চৌধুরীর ৫, আলতাফ হোসেন চৌধুরীর ৭, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের ১৮ এবং মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা দেওয়া হয়েছে।
৭ যুগ্ম মহাসচিবের ২৫৪ মামলা: বিএনপির সূত্র জানায়, দলের সাতজন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবের সবাই মামলার আসামি। মামলার সংখ্যা ২৫৪। ১১৩টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
যুগ্ম মহাসচিবের মধ্যে আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১২৬টি মামলা হয়েছে। ৫৮টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বরকতউল্লা বুলুর ৫১ মামলার ২৬টিতে, রুহুল কবির রিজভীর ৩৫ মামলার ১১টিতে, সালাহউদ্দিন আহমেদের ১৭ মামলার ৫টিতে, মিজানুর রহমান মিনুর ১৩ মামলার ৭টিতে, মো. শাহজাহানের ৭টি মামলার ৩টিতে ও মাহবুব উদ্দিন খোকনের ৫ মামলার ৩টিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। আমান ও রিজভী বর্তমানে কারাগারে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ৫২টি, প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খানের বিরুদ্ধে ৪৩ এবং মিডিয়া উইংয়ের শামসুদ্দিন “িারের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়েছে। প্রথম দুজনের ২৬টি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলার পরিসংখ্যান ও ধরন বলছে, সরকার বিএনপিকে মামলার জালে বন্দী রাখতে চাইছে। এখন নিশ্চয়ই বিএনপি বিকল্প কৌশল নেবে। এত কিছুর পরও আমরা দ্রুত একটি গ্রহণযোগ্য সংসদ নির্বাচন চাই। তাতে বিএনপি অংশ নেবে।’
৪ সিটি মেয়রের ৩৮ মামলা: সিটি করপোরেশনের চার মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৩৮টি। ১৯টিতে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে। রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন ১৩টি, গাজীপুরের মেয়র আবদুল মান্নান ১১, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ৯, বরিশালের মেয়র আহসান হাবিব কামাল ৫টি মামলার আসামি। আরিফুল হক ও আবদুল মান্নান কারাগারে। আর মোসাদ্দেক হোসেন আত্মগোপনে আছেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সহিংসতা ও নাশকতার মামলায় জড়িয়ে দল-সমর্থিত ২৮ জন উপজেলা চেয়ারম্যানকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরখাস্ত করেছে। এর মধ্যে ১৮ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে।
১৯ কেন্দ্রীয় নেতার ৬৪৬ মামলা: দলীয় সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটিসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ৩২৭ জন। এর মধ্যে ১৫৮ জন ৪ হাজার ৩৩১টি মামলার আসামি। ১৯ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ৬৫১ মামলার আসামি। ২৯৮টিতে পুলিশ অভিযোগপত্র দিয়েছে।
এঁদের মধ্যে জয়নুল আবেদীন ফারুকের বিরুদ্ধে ৩১টি, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ১০১, নাজিম উদ্দিন আলম ১৭, খায়রুল কবির খোকন ১০, ফজলুল হক মিলন ১২, নবী উল্লাহ নবী ৮৩, রুহুল কুদ্দুছ তালুকদার দুলু ৮৭, মীর শরফত আলী ৮৭, নাদিম মোস্তফা ১৭, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী ৮৭, আজিজুল বারী ৩৭, সৈয়দ মেহেদি আহমেদ ৮, সানাউল্লাহ মিয়া ৮, শিরিন সুলতানা ১৭, শফিউল বারি ১৫, আসিফা আশরাফী পাপিয়া ১১, তৈমুর আলম খন্দকার ৪, নজরুল ইসলাম (মঞ্জু) ৬ ও বেলাল আহমেদ ৬টি মামলার আসামি।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের ভূঁইয়া (জুয়েল) ২৭, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ ৪৩, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান ১০ মামলার আসামি।
বিএনপির চেয়ারপারসনের আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন এসব মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে মন্তব্য করেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের মামলা পর্যালোচনা করে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সরকার মনে করছে, নেতাদের সাজা দিয়ে দেবেন। তাঁরা নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। এরপর নির্বিঘেœ নির্বাচন দিয়ে আবার ক্ষমতায় বসবেন। এগুলো দুঃস্বপ্ন।
অবশ্য আইনমন্ত্রী বলেন, তিন মাস ধরে যে তাণ্ডব হয়েছে, সেটা তো সত্য। ফলে এসব মামলার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।ক্যাটের কথা রাখলেন না রণবীর!
প্রেমিক রণবীর কাপুরের কাছে নিজের জন্মদিনে একটি বিশেষ উপহার চেয়েছিলেন ক্যাটরিনা কাইফ। রণবীরকে ধূমপান বন্ধ করতে বলেছিলেন তিনি। শোনা গেছে, রণবীর নাকি ক্যাটরিনার কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি এর জন্য থেরাপি নেবেন। অনেকেই হয়তো জানেন না, ক্যাটরিনার জন্মদিনে এই জুটি অস্ট্রিয়ার অরিজিনাল এফএক্স মায়ার হেলথ সেন্টারে গিয়েছিলেন। যারা নিকোটিনের আসক্তি ছাড়তে চান তাদেরকে সেখানে চিকিৎসা দেয়া হয়।
গুজব, তারা সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন। সেখানে ক্যাটরিনা কিছু ডিটক্স সেশন নিয়েছিলেন। আর আসক্তি থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য রণবীর ইনজেকশন নিয়েছিলেন। এই থেরাপি নেয়ার পর রণবীর নাকি দুইমাস ধূমপান থেকে দূরেও ছিলেন।
দুর্ভাগ্যবশত সম্প্রতি জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত ওকেটুবারফেস্টে রণবীরকে ধূমপান করতে দেখা গেছে। তিনি তার এক আত্মীয় ও বন্ধু আয়ান মুখার্জির সঙ্গে সেখানে গিয়েছিলেন।
এখন ক্যাটরিনাকে কি জবাব দেবেন রণবীর?