খোলা বাজার২৪ ॥ শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫ : ‘জঙ্গি ও উগ্রবাদ রুখতে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন’— বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরাও জাতীয় ঐক্য চাই। ঐক্য হওয়া উচিৎ, এটা আমরাও বিশ্বাস করি। আর সেই ঐক্য হয়েছেও। কিন্তু যারা জঙ্গিবাদের দোসর, যারা অর্থের যোগানদাতা, যারা তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তাদেরকে নিয়ে কোনো অবস্থাতেই জাতীয় ঐক্য হতে পারে না। জাতীয় ঐক্য হবে না।’
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে শুক্রবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগের একটি আলোচনা সভায় খাদ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চ্যাম্পিয়ন অফ দ্যা আর্থ পুরস্কার প্রাপ্তিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
কামরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক পেশার মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। শুধুমাত্র জঙ্গিবাদের এই পৃষ্ঠপোষকরা ছাড়া; গণতন্ত্র ও শান্তির আলখেল্লাধারীরা ছাড়া। এরা ছাড়া আর সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলেছেন। তবে ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের সঙ্গে আর যাই হোক জাতীয় ঐক্য সম্ভব নয়। হতেও পারে না।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার একটা চক্রান্ত চলছে। বিগত দিনে আগুন সন্ত্রাসীদের যে কাজগুলো দেখেছি। আজকে তারা নিশ্চুপ হয়ে কিন্তু সুবোধ বালকের মতো শান্তির কথা বলছে। এটা মনে করবেন না যে, তারা ষড়যন্ত্রের পথ থেকে দূরে সরে গেছে। কারণ তাদের জন্মই হত্যা ও সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে। এদের বর্তমান যে অবস্থা সেটা হচ্ছে একটা সাময়িক রুপ মাত্র। তারা সাময়িক শান্তির আলখেল্লা গায়ে দিয়ে ভাল কথা বলছেন। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
নেতাকর্মীদের আরও বেশি সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজকে শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। আমরা স্বপ্ন দেখছি একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশের। এই স্বপ্ন পূরণের একমাত্র সারথি তিনি। আমাদের আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে শুধু তার জন্য।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা উপমহাদেশের রাজনীতিতে ওপরে উঠে যাচ্ছেন বলে তারা ইর্ষাণ্বিত। এ কারণে তারা দুইজন বিদেশী নাগরিককে হত্যা করেছেন। তারা দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করতে চান। দেশের ১০ জন নাগরিক হত্যা হলে যে আলোড়ন সৃষ্টি হয়, তার চেয়ে বেশি আলোড়ন হয় একজন বিদেশী নাগরকি হত্যায়।
‘চ্যাম্পিয়ান অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কার লাভে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজকে আমরা স্বপ্ন দেখছি। এই স্বপ্ন পুরনের সারথি একমাত্র শেখ হাসিনাই। এ জন্য আমাদের শেখ হাসিনার পেছনে অতন্দ্র প্রহরীর মতো থাকতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিভাগের সভাপতি মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, শাহাজান আলম সাজু, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।