খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৫ : বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গি অর্থায়নের বিষয়ে অনুসন্ধানে জাতিসংঘ সম্পর্কিত একটি প্রতিনিধি দল এখন ঢাকায়। সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলটি কাজ শুরু করবে আজ থেকে।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দল এমন সময় এল যখন দুই বিদেশী নাগরিক খুন ও একের পর এক বিভিন্ন দেশের সতর্কতা জারির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ নিয়ে তোলপাড় চলছে সারা দুনিয়ায়।
১২ দিনের সফরে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের উৎস অনুসন্ধান করবে দলটি। পর্যবেক্ষণ করবে নিরাপত্তার বিষয়টিও।
বাংলাদেশ সফর শেষে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করবে দলটি। বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তা রেটিং তৈরিতে এসব প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সূত্র মতে, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং (এপিজি)’র ওই প্রতিনিধি দলে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ ৭টি দেশের প্রতিনিধি রয়েছেন।
আজ সকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকটি হওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আগামী ১৫ই অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এপিজি প্রতিনিধি দলের বৈঠকের সূচি নির্ধারিত রয়েছে। বাংলাদেশ এপিজির সক্রিয় সদস্য। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাতিসংঘ বিভিন্ন সময়ে যেসব রেজুলেশন পাস করেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বাস্তবায়ন এবং মনিটরিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ওই আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, গত জুলাইতে মানি লন্ডারিং এবং জঙ্গি অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ৩ বছর মেয়াদি জাতীয় কৌশলপত্র নির্ধারণ করেছে।
এদিকে দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে সরকার। পশ্চিমা কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে ভ্রমণের বিষয়ে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য দ্বিতীয় দফা সতর্কতা জারি করে। একইসঙ্গে বাংলাদেশে পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর নির্বিচার হামলা চালানো হতে পারে বলেও এতে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের চলাফেরাও সীমিত হয়ে আসছে।