Wed. Jun 18th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৫ সোনালী ব্যাংকে ড্যান্ডি ডায়িংয়ের ৪৫ কোটি টাকা 6ঋণখেলাপী মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারসহ ১৪ বিবাদীর বিরুদ্ধে ইস্যু গঠনের জন্য ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর বিচারক ফাতেমা ফেরদৌস আদালতে রবিবার মামলার ইস্যু গঠনের দিন ধার্য ছিল। বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শার্মিলা রহমানের সমনের জবাব দাখিল না করায় তার আইনজীবীরা জবাব দাখিল ও ইস্যু গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের মঞ্জুর করে আদালত এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে সমনের জবাব দাখিল করেন আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মদ তালুকদার ও জয়নাল আবেদীন মেজবাহ। জবাবে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক থেকে কোম্পানি ১৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ঋণ নেয়। পরে ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করে। অথচ সোনালী ব্যাংক নিয়মবহির্ভূত ও বে আইনিভাবে ৪৫ কোটি টাকা ঋণখেলাপের মামলাটি করেছে, যা অর্থঋণ আইনে বৈধ নয়। এদিকে আরাফাত রহমান কোকো নামমাত্র কোম্পানির ডিরেক্টর ছিলেন। তিনি লেনদেনের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। তাই মামলাটি খারিজের আবেদন করেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার পক্ষে হলফনামা দেন মাহবুব আল আমিন। ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। সমন জারির পর তার জবাব দিতে বলেন খালেদা জিয়াকে। আরাফাত রহমান কোকো মারা যাওয়ায় ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক অংশীদারিত্ব মামলায় তার মা খালেদা জিয়া, স্ত্রী শার্মিলা রহমান এবং দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে বিবাদী করার জন্য ২০১৫ সালের ৮ মার্চ আদালতে আবেদন করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৫ সালের ১৬ মার্চ ঢাকার অর্থঋণ আদালত-১ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা আরা হ্যাপী এ মামলায় তাদের বিবাদী করেন। চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার একটি হাসপাতালে মারা যান। এ মামলায় অন্য বিবাদীরা হলেন— বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তার মামা প্রয়াত সাঈদ ইস্কান্দারের ছেলে শামস ইস্কান্দার ও সাফিন ইস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া ইস্কান্দার ও স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন (অন্য মামলায় বর্তমানে কারাগারে), মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, মিসেস শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান। মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্র“য়ারি বিবাদীরা ড্যান্ডি ডায়িংয়ের পক্ষে সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন। ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করে। ২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ তাদের সুদ মওকুফ করে। পরবর্তীতে বিবাদীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক আবারও ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ করে দেয়। কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বারবার কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০১০ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য বিবাদীদের চূড়ান্ত নোটিশ দেওয়া হলেও তারা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি। ফলে ৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপীর অভিযোগে ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।