খোলা বাজার২৪ ॥ রবিবার, ১১ অক্টোবর ২০১৫ সিলেটের ইমতিয়াজ হোসেন সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল ও ঢাকার রকিবুল হাসান। এই হলো জাতীয় লিগের তৃতীয় পর্বের প্রথম দিনের ‘হাইলাইটস’। দিন শেষে ৯০ ও ৮৯ রানে অপরাজিত তামিম, রকিবুল আজ যদি সেঞ্চুরি পানও, ইমতিয়াজের সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য একটু বেশিই থাকবে। আগের পর্বে বরিশালের বিপক্ষে ১২৭ রান করা সিলেটের ওপেনার যে সেঞ্চুরি করলেন পর পর দুই ম্যাচে! বগুড়ায় রাজশাহীর বিপক্ষে সারা দিনই সিলেটের ভরসার নাম হয়ে ছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সপ্তম সেঞ্চুরি পাওয়া ইমতিয়াজ। মাত্র ২ রানে সঙ্গী ওপেনার শাহনাজ ফিরে যান। লাঞ্চের আগেই নেই ৩ উইকেট, চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে অধিনায়ক অলক কাপালিকেও হারাতে হয়েছে দলের ৮২ রানে। পঞ্চম উইকেটে ইমতিয়াজ-রুমান আহমেদের ১৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। দিন শেষে দলের স্কোরটা সকালের চিত্রের সঙ্গে মেলেই না, ২৩৬/৪। ২৮৫ বলে ১২৫ রান করে অপরাজিত ইমতিয়াজ। ১৫৯ বল খেলা সঙ্গি রুমান অপরাজিত ৮১ রানে। চার ভেন্যুর মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রামেই বৃষ্টির জন্য পুরো দিনের খেলা হতে পারেনি। চা-বিরতির একটু আগে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তবে বরিশালের বিপক্ষে চট্টগ্রামের তামিম ইকবাল তার আগেই চলে গেছেন সেঞ্চুরির দুয়ারে। ৯০ রানে অপরাজিত জাতীয় দলের এই ওপেনার মুঠোফোনে বলছিলেন, ‘প্রথম ম্যাচে রান না পাওয়ায় খারাপ লাগছিল। আজও (গতকাল) শুরুতে রান করা কঠিন ছিল। তবে সময় নিয়ে ব্যাট করেছি। এখন লক্ষ্য সেঞ্চুরি করা।’ ইমতিয়াজবড় ভাই নাফিস ইকবালের (৫৬) সঙ্গে ৯৮ রানের ওপেনিং জুটি হয়েছিল তামিমের। নাফিসের বিদায়ের পর মাত্র ১৯ রানের ব্যবধানে আল আমিনের বলে বোল্ড হয়ে যান মুমিনুল হকও। তবে তৃতীয় উইকেটে তামিম-তাসামুল হকের অবিচ্ছিন্ন ৮৯ রানের জুটি আর উইকেট হারাতে দেয়নি চট্টগ্রামকে। ফতুল্লায় ঢাকা মহানগরের বিপক্ষে সারা দিনে ৪ উইকেট হারিয়ে ঢাকা বিভাগ করেছে ২৬১। ১৫৪ বলে ৮৯ রানে অপরাজিত রকিবুল হাসান সেঞ্চুরির স্বপ্ন দেখছেন। লাঞ্চের আগে মাত্র ১ উইকেট পড়লেও চা-বিরতির আগে আরও ২ উইকেট হারায় ঢাকা। তবে পঞ্চম উইকেটে মাইশুকুর রহমানের সঙ্গে ৬৯ ও ষষ্ঠ উইকেটে নাদিফ চৌধুরীর সঙ্গে ৭৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে ভালো কিছুর স্বপ্নই দেখাচ্ছেন রকিবুল। ঢাকা মহানগরের হয়ে ৪ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি। খুলনায় ছিল স্পিনারদের রাজত্ব। সারা দিনে যে ১২ উইকেট পড়েছে, সবাই নিয়েছেন স্পিনাররা। তবে এমন নয় যে উইকেটে অনেক বেশি সাহায্য করেছে স্পিনারদের। ব্যাটসম্যানদের ভুলে আউটের সংখ্যাও কম নয়। চা-বিরতির পর ১০ ওভারের মধ্যেই ২১১ রানে অলআউট হয়ে যায় স্বাগতিক খুলনা। ৪ উইকেট করে নিয়ে নিয়েছেন রংপুরের বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী ও অফ স্পিনার সঞ্জিত সাহা। সঞ্জিত তো রাজ্জাক আর রবিউলকে ফিরিয়েছেন পর পর দুই বলে! বাকি ২ উইকেট গেছে লেগ স্পিনার তানভীর হায়দারের দখলে। দিনের শেষ বেলায় ১৮ ওভার ব্যাট করে রংপুর যে ২ উইকেট হারিয়েছে, সেগুলোও নিয়েছেন খুলনার দুই স্পিনার আবদুর রাজ্জাক ও মেহেদী হোসেন। মেহেদী (৬৩) অবশ্য এর আগে ব্যাট হাতেও ছিলেন খুলনার প্রাণশক্তি। সংক্ষিপ্ত স্কোর সিলেট–রাজশাহী, বগুড়া সিলেট ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৩৬/৪ (ইমতিয়াজ ১২৫*, রুমান ৮১*; মঈনুল ২/৪৪, সানজামুল ১/৫২, ফরহাদ ১/৫৩)। চট্টগ্রাম–বরিশাল, চট্টগ্রাম চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৫৭.১ ওভারে ২০৬/২ (তামিম ৯০*, নাফিস ৫৬, তাসামুল ৩৯*; আল আমিন ১/২২, সোহাগ ১/৫০)। ঢাকা–ঢাকা মেট্রো, ফতুল্লা ঢাকা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৬১/৪ (রকিবুল ৮৯*, মজিদ ৬৬, নাদিফ ৩৭*; আরাফাত ৩/৭৯)। খুলনা–রংপুর, খুলনা খুলনা ১ম ইনিংস: ৬৪.৩ ওভারে ২১১ (মেহেদী ৬৩, এনামুল ৪১, তুষার ৩২; সনজিৎ ৪/৩৭, সোহরাওয়ার্দী ৪/৮১, তানভীর ২/৪৫)। রংপুর ১ম ইনিংস: ১৮ ওভারে ২৩/২ (নাঈম ৫*, সোহরাওয়ার্দী ১*)।