Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

chapainawabganjখোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫, ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ভোলাহাটে সালিশের কাঠগড়ায় দাঁড়ীয়ে এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানী করল এক কথিত বিচারক। সরজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরধরমপুর মিস্ত্রীপাড়া গ্রামের বাজার নবীন সংঘ চত্বরে সাবেক ইউপি মেম্বর আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গ্রাম্য সালিশে গৃহবধূর শ্লীলতাহানীর বিচারের কথিত বিচারকেরা নামকাস্তে বিচার করে ঘটনার সাথে জড়িত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রাজুর ( ২৬) তাৎক্ষণিক ৬ অক্টোবর রাতে বিচার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে অভিযুক্তকে। পরবর্তীতে জরিমানার টাকা কথিত বিচারকেরা বিভিন্ন খাতে ব্যায় দেখিয়ে লুটপাঠ করে । এ অভিযোগে কথিত বিচারক চরধরমপুর গ্রামের মৃতঃ ফজলুর রহমানের ছেলে মোশারফ হোসেন( ৫২), মৃতঃ হাজী নেজামুদ্দিনের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন ভুটু ( ৪০) ও ভোলাহাট সদর ইউপির ৯ নং ওযার্ড মেম্বর আলহাজ্ব আফজাল হোসেন মাষ্টারের ছেলে রেজাউল কবির ( ৪৫ ) এর উপর গৃহবধূর স্বামী খাইরুল ইসলাম মিস্ত্রীর ছেলে দূরুল ইসলাম বাদি হয়ে মিস্ত্রীপাড়া নবীন সংঘ সভাপতি বরাবর বিচারের দাবী করলে শনিবার ১০ অক্টোবর রাতে সংঘ চত্বরে সমুরুদ্দিন সমরু মন্ডল, নবীন সংঘের সাধারণ সম্পাদক নাইমুর রহমান, বিএনপি নেতা সামশুল হক, আলীগ ৯ নং ওযার্ড সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনসহ গ্রামের ৫ শতাধীক মানুষ উপস্থিত থেকে কথিত বিচারকের বিচার হয়। বিচার চলাকালীন সময় বিচার বর্হিভূত ভাবে দূরুলের স্ত্রী গৃহবধূ সর্ম্পকে নানা ধরণের শ্লীলতাহানীকর বক্তব্য রাখেন কথিত বিচারক মোশারফ হোসেন। তিনি বিচারে মিথ্যাচার করে গৃহবধূর আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন করে বলেন, অভিযুক্ত রাজু গৃহবধূর পাজামা খুলে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে ধর্ষকের পরনে থাকা লুঙ্গিতে বিভিন্ন ধর্ষণের আলামত লক্ষ্য করেন বলে প্রকাশ্য সালিশের ৫শতাধীক মানুষের সামনে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় বিচারের অনেকেই তার এ বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করলেও তার পেরুয়া দাপটে অসহায় হয়ে পড়েন বিচারে উপস্থিত বিচারক ও অন্যান্য ব্যক্তিরা। পরবর্তীতে অন্য অভিযুক্ত কথিত বিচারকদ্বয় মোশারফের বক্তব্যের কোন প্রতিবাদ না করে তার বক্তব্যকে নিরবে সম্মতি জানান। ফলে কথিত বিচারকদের অন্যায় বক্তব্যে লোকলজ্জায় গৃহবধূ চরম ভাবে সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ায় আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে স্মামী দুরুল ইসলামের হস্তক্ষেপে রক্ষা হলেও বাড়ী ছেড়ে আত্মগোপনে কিংবা আত্মহত্যা করে ফেলবে বলে তার স্বামী দূরুর জানায়। এ ব্যাপারে কথিত বিচারক মোশারফ আসল ঘটনাটি এড়িয়ে যান। তবে বিচারের সভাপতি সাবেক ইউপি মেম্বর আব্দুল কাদের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং টাকার বিষয়ে পূর্বের সিদ্ধান্ত বহাল আছে বলে জানান। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল কবির জানান, তিনি কথিত বিচারের সভাপতি থাকলেও সকল দায়িত্ব ছিলো মোশারফ হোসেন ও মোয়াজ্জেম হোসেন ভূটুর উপর। টাকার বিষয়ে তারই বলতে পারবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে অফিসার ইনর্চাজ মহসীন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি, ধর্ষণের চেষ্টার কথা শুনেছেন যদি অভিযোগ পায় তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।