Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫ : অনলাইনে জন্ম-নিবন্ধন সার্ভার বন্ধ এবং ইন্টারনেটের 88দুর্বল গতির কারনে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধন/সনদ প্রদান ও সংশোধনীর কাজ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারন মানুষ।ফলে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ম্লান হতে বসেছে। ডোমার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের তথ্যসেবা কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের অনলাইন ঠিকানা বন্ধ থাকায় অতিব প্রয়োজনিয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ প্রদান ও সংশোধনীর কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে।এর ফলে সাধারন মানুষজন প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। তথ্যানুযায়ী, পাসপোর্ট ইস্যু,বিবাহ-বন্ধন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি,ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তি,ভোটার তালিকা প্রনয়ন,জমি রেজিষ্ট্রেশন,ব্যাংক হিসাব খোলা,আমদানী ও রপ্তানী লাইসেন্স প্রাপ্তি,গ্যাস,বিদ্যুত ও পানি সংযোগ,ট্যাক্স(টিআইএন),ট্রেড লাইসেন্স,জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তিসহ ১৭টি প্রয়োজনীয় কাজে জন্ম সনদ প্রয়োজন। উল্লেখিত প্রয়োজনে এলাকার সাধারন মানুষজন একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দায় দিনের পর দিন ধর্না দিয়েও তা সংগ্রহ করতে পারছে না। সম্প্রতি ডোমার সদর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে জন্ম সনদ নিতে এসেছেন ৭নং ওয়ার্ডের একরামুল হকের ছেলে শহিদুল ইসলাম, ৫নং ওয়ার্ডের হামিরউদ্দিনের ছেলে আব্দুল হক ও আফজাল হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন। চিকিৎসার জন্য জরুরী পাসপোর্ট করাবেন এজন্য জন্ম সনদ নিতে এসেছেন ৮নং ওয়ার্ডের সাবদার আলীর ছেলে বেলাল হোসেন এবং জন্ম সনদ হারিয়ে এসেছেন ৪নং ওয়ার্ডের আশেক আলীর ছেলে আব্দুল খালেক।শেষে জন্ম সনদ না পেয়ে ফিরে যায় তারা। তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা আব্দুল কাদের জানান,ইন্টারনেটের ধীরগতির কারনে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থেকেও নেট পাওয়া যায়না। এছাড়া জন্ম নিবন্ধন ওয়েব সাইটটি বন্ধ থাকায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ও জন্ম সনদ সংশোধনী প্রদান বন্ধ রয়েছে গত মে মাস থেকে। একই কথা জানালেন,বামুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা দীনবন্ধু রায়। তিনি বলেন এখানে নেট পাওয়া দুস্কর। এ ছাড়া বর্তমানে জন্ম তারিখ সংশোধন এবং নিবন্ধনকৃত সনদ সংশোধনীর কাজ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বরাবরে গত ২৯ জুন ১৩ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট সম্পাদন করার আবেদন করেও অদ্যাবধি কোন কাজ হয়নী।হরিনচড়া ইউপির উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম জানান,জন্ম-নিবন্ধন ওয়েব সাইটটি মাঝে মাঝে খোলা থাকে আবার মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে।তবে সংশোধনীর কাজ বন্ধ রয়েছে। এ দিকে জন্ম সনদ দিতে না পাড়ায় সম্প্রতি সোনারায় ইউপি সদস্য তৈয়ব আলী বাবুর হাতে প্রহত হন ওই ইউনিয়নের সচিব হামিদুর রহমান।তিনি উল্লেখিত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন।মামলা নং-জি আর -১৪২/১৫,তারিখ-১২/০৯/২০১৫ইং। যাহা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। জনসাধারনের চাহিদানুযায়ী জন্ম সনদ এবং সংশোধনীর কাজ করতে না পারায় সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন অনেকটাই ম্লান হতে বসেছে। অপর দিকে ইউনিয়ন সেবা কেন্দ্র থেকে জন্ম সনদ না পেয়ে অনেকে প্রয়োজনীয় কাজে তাদের ইচ্ছেমতো জাল জন্ম-সনদ তৈরী করে ব্যবহার করছে। এ ব্যাপারে ডোমার সদর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাফিজুল ইসলাম হফিজ,হরিনচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম ও বামুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন রায় জানান, দেরিতে হলেও জন্ম সনদ দিতে পারছি কিন্তু সংশোধনীর কাজ একেবারেই বন্ধ রয়েছে। পাঠকের মতামত: বিডি টুয়েন্টিফোর লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।