খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫ : কিছুদিন ধরেই মাশরাফি-সাকিবদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখছে ক্রিকেট বিশ্ব। বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতির এই গ্রাফ উর্ধ্বমুখী স্বীকার করছে আইসিসিও। তাই টেস্ট খেলুড়ে বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে আইসিসিও একমত। বোর্ড সভাতে তোলা বাংলাদেশের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে স্বয়ং আইসিসি। সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আইসিসিরি প্রধান নির্বাহীর বরাত দিয়ে বলেছেন, ‘এফিটিপিতে আইসিসির প্রধান নির্বাহী আমাদের আরও বেশি খেলা যোগ হওয়ার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, পারফরম্যান্সের বিচারেই বাংলাদেশের আরও বেশি ম্যাচ দেওয়া যেতে পারে।’ দুবাইতে প্রথম দিনে সকল দেশের নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিয়ে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানেই মূলত এই আলোচনা গুলো হয়েছে। সোমবার এমনটি জানিয়েছেন জালাল ইউনুস। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রথমদিন চিফ এক্সিকিউটিভ কমিটির সভা ছিল। সেখানে এফটিপিতে কিভাবে আমাদের আরও ম্যাচ বাড়ানো যায়; তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমরা বলেছি, র্যাঙ্কিংয়ের সেরা ৫ দল যে পরিমাণ খেলা পায়, আমরা তেমনটা পাই না। আমরা আমাদের পারফরম্যান্স তুলে ধরেছি। আমাদের আরো বেশি ম্যাচ দিতে এই দাবির প্রতি সবাই সমর্থন জানিয়েছে। তারাও মনে করছে, বাংলাদেশের আরও ম্যাচ দেওয়া উচিত।’ বেশকিছুদিন আগে ভারতীয় একটি পত্রিকার বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অন্য কোথাও চলে যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এমন কিছুই আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেছেন, ‘এগুলো আসলে একটা জল্পনা ছাড়া কিছু নয়। ধারণার উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্টটি করা হয়েছে। আইসিসির সভাতে এ বিষয়ে এখনো কিছু আলাপ হয়নি। সোমবার এবং মঙ্গলবার আইসিসির বোর্ড সভায় এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। রবিবার বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি বলেছেন, এক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে। প্রসঙ্গ আসলে আমরা স্টেট লেভেলের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দেব। আমরা অস্ট্রেলিয়াকে যে ধরনের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলাম; তাদেরকেও তাই দেব।’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ধরনের কোনো কিছু ঘটেনি। আমরা কোনো আশঙ্কা দেখছি না। আইসিসির বোর্ড মিটিংয়ে এটা অন্যদেরকে আশ্বস্ত করা হবে।’ এশিয়া কাপে পর পর ২বার বাংলাদেশ আয়োজকের দায়িত্ব পালন করেছে। সেক্ষেত্রে অন্য কোথাও এশিয়া কাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘এশিয়া কাপ আয়োজনের জন্য আমরা আগ্রহ দেখিয়েছি। ভারতও আগ্রহ দেখাচ্ছে। আমরা যেহেতু আগে টানা ২বার আয়োজন করেছি; আমাদের তাই সম্ভাবনা কম। তারপরও আমরা আগ্রহ দেখিয়েছি।’ নভেম্বরে জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে ২ টেস্টের সিরিজ হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু এমন প্রশ্নে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ে ইতিমধ্যে সিরিজ খেলার মধ্যে রয়েছে। এ মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত তাদের খেলা। এরপরপরে ২০ নভেম্বর থেকে আমাদের বিপিএল শুরু। অর্থাৎ নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে ২০ তারিখের আগ পর্যন্ত একটা সময় ফাঁকা আছে। এর মধ্যে একটা ফরম্যাটে আমাদের খেলতে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে সময় বেশি লাগার কারণে আমাদের হয়তো ওয়ানডে কিংবা টোয়েন্টি২০ খেলতে হতে পারে। তবে এটা এখনো নিশ্চিত কিছু নয়। ওয়ানডে খেলার সম্ভাবনেই বেশি।’ চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বাংলাদেশ সফর করার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জালাল ইউনুস। তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া আমাদের দেশে খেলতে আসতে পারেনি তাদের সরকারের সতর্কবার্তার কারণে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া এবং টিম ম্যানেজমেন্ট চেষ্টা করেছে। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ড দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এবং তিনি বলেছেন, ‘সুযোগ পেলেই বাংলাদেশে এসে খেলে যাবে অস্ট্রেলিয়া। তবে তা খুব তাড়াতাড়ি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ আগামী বছরের এপ্রিলের আগে অস্ট্রেলিয়ার কোনো সময় নেই।