খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫ : মল বা বিষ্ঠা দেখে নাক সিটকানোর দিন বুঝি ফুরলো। কারন এখন থেকে ওই মল-ই যে লাগবে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর দাওয়াই হিসেবে। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের মতো নিজের মল শরীরে প্রতিস্থাপন করে বাড়াতে পারবেন আপনার ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের এই নতুন আবিষ্কারকে চিকিৎসকরা বলছেন ‘অটোলোগাস ফেসাল ট্রান্সপ্লান্ট’। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে শৈশবে, মূলত জন্ম থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত যদি কোনও রোগের কারণে শরীরে বেশি অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয় তবে বড় হয়ে হাঁপানি, ইনফ্লেমেটরি বাওয়েল ডিসিজ, মোটা হয়ে যাওয়া বা বাতের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, এই সব উপসর্গ রুখতে পারে আপনার নিজেরই মল। এ ক্ষেত্রে আপনার ত্যাগ করা মল প্রথমে চিকিৎসকরা রেফ্রিজারেটরে জমিয়ে রাখবেন, এর পর নির্দিষ্ট সময় পর মলের ক্ষতিকারক জীবাণু বা মাইক্রোব মরে গেলে অথবা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল তৈরি হয়ে গেলে সেই মলই আবার ভরে দেওয়া হবে আপনার শরীরে। যাকে বলা যেতে পারে মাইক্রোবিয়াল রেস্টোরেশন। আর এতেই আপনার হাঁপানি, পেটের সমস্যা, মোটা হয়ে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা বা বাতের সমস্যাও কমে যাবে। ব্যাপারটা অনেকটা আমাদের কম্পিউটার ‘রিবুট’ করার মতো। পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে স্ট্যানলি ফকো নামের এক মেডিক্যাল প্রযুক্তিবিদ এই পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। ফেসাল রিকন্সটিটিউশন নামের চিকিৎসা পদ্ধতিতে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের আগে রোগীদের মল রেফ্রিজারেটরে জমিয়ে রাখতেন। সেই মল দিয়ে তৈরি করতেন ক্যাপসুল। অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের পর রোগীদের দেওয়া হত তাদেরই নিজেদের মল দিয়ে তৈরি ক্যাপসুল। তবে রোগীরা কিন্তু না জেনেই গিলে ফেলতেন নিজেদের মলসমৃদ্ধ ক্যাপসুল। জানাজানি হওয়ার পর চাকরি গিয়েছিল ফকোর। এই ঘটনার ছয় দশক পর এখন মল প্রতিস্থাপনেই নতুন দিশা দেখছেন চিকিৎসকরা।