খোলা বাজার২৪ ॥ সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫ : বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তা বিধানে সরকার গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন কানাডীয় হাইকমিশনার বিনোয়েট পাইরি লারামি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রচার মাধ্যম অনেক বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে বাস্তব পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।’ সোমবার বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে সচিবালয়ে তার দপ্তরে বৈঠককালে এ মন্তব্য করেন হাইকমিশনার। কানাডীয় হাইকমিশনার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। হাইকমিশনারকে উদ্ধৃত করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য আপনাদের প্রচার মাধ্যম অনেক বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে বাস্তব পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই। আমরা খুবই স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই আছি। এসময় রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি যার জন্য সতর্কতা জারির প্রয়োজন হতে পারে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এর ফলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পসহ সার্বিক অর্থনীতির ক্ষতি হবে।’ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিষয়ক তার পর্যবেক্ষণের বিষয়টি বাংলাদেশে কর্মরত তার কূটনৈতিক বন্ধুদের অবহিত করার জন্য হাইকমিশনারকে আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যে সময় যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ সফরে অ্যালার্ট জারি করেছে, একই সময়ে যুক্তরাজ্যের উচ্চপর্যায়ের বাণিজ্যিক প্রতিনিধিদল আমার সঙ্গে বৈঠক করেছে।’ তিনি দেশের পর্যটকদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ‘নিরপত্তার ক্ষেত্রে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে অবিচল থেকে কাজ করছে।’ মন্ত্রী অহেতুক অ্যালার্ট জারির মাধ্যমে বিদ্যমান পরিস্থিতির বৈসাদৃশ্য তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের যে কোনো পরিস্থিতির উত্তরণে সরকার বদ্ধপরিকর।’ বাংলাদেশ-কানাডা বন্ধুপ্রতীম দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমরা চলতি মাসে আন্তর্জাতিক বুদ্ধিস্ট ট্যুরিজম সার্কিট কনফারেন্স করতে যাচ্ছি।’ বিমানমন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটনের উন্নয়নে বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ একটি বিনিয়োগবান্ধব দেশ। সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি কাজে লাগাতে বাংলাদেশে অধিকতর বিনিয়োগে কানাডা এগিয়ে আসবে।