Tue. Jul 15th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

healthখোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কতৃপক্ষের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও গাফেলতি কারণে রোগী দের কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্থানীয় দালাল,ডাক্তার ও ক্লিনিক মালিকরা পরস্পরে যোগসাজস করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। এর মুলে রয়েছে একটি প্রভাবশালী দালাল চক্র। ফলে দালালদের দৌরাত্ব্যের কারনে এক দিকে সাধারন রোগীরা যেমন সরকারী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন,অপর দিকে ঠিক তেমনি প্রাইভেট ক্লিনিকে ব্যয়বহুল চিকিৎসা নিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে ডাক্তাররা রোগ নির্নয়ের নামে একের পর এক টেস্ট দিয়ে সাধারন রোগীদের আর্থিক ক্ষতি, হয়রানিসহ প্রতারনার শিকারে বাধ্য করছেন।

এতে ডাক্তারা পরামর্শ ফি,ক্লিনিক মালিকরা বিভিন্ন টেস্টের অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ও দালালরা দালালী পেয়ে খুশি থাকলেও সাধারন রোগীদের দূ:খ-কষ্টের শেষ নেই।।স্বাস্থ্য কমপেক্সের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি প্রায় ৫ বছর ধরে বিকল হয়েছে। দুইটি এ্যামব্লুলেন্স এর মধ্যে একটি দীর্ঘ দিন যাবৎ বিকল হয়েছে। এজন্য অধিক ব্যয়ে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে বাধ্য হচ্ছে রোগীরা। এমন আরোও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

এছাড়া সরকারী বরাদ্দের ওষুধ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। রোগীদের খাবারে মান অতি নিম্ন বলেও অভিযোগ উঠেছে। রোগীদের বেলায় কোন র্নিদিষ্ট ওয়ার্ড মানা হচ্ছেনা। এমনকি রোগীদের আত্বীয়-স্বজনের লক্ষনীয় ভীড় থাকে । ওয়ার্ডগুলোতে পরিস্কার পরিচ্ছনের কোন বালাই নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ঘিরে ব্যাঙের ছাতারমত বেশ কয়েকটি প্রাইভেট ক্লিনিক গড়ে উঠেছে। ক্লিনিক মালিকরা অধিক লাভের আশায় ডাক্তারদের সাথে সখ্যতা রয়েছে। ডাক্তাররাও এতে নানা সুযোগসুবিধা পাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কমপেক্সেসে বসে রোগীদের সেবা দিলে টাকা মেলেনা। তাই তারা টাকা কামাতে ক্লিনিকমূখী হয়ে পড়েছেন।

এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ উপজেলাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নির্শ্চিত করতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শর্য্যা থেকে ৫০শর্য্যায় উতির্ন্ন সহ বিষেজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ দিলেও বিষেজ্ঞ চিকিৎসকগন রোগী দেখার জন্য তাদের নিজস্ব চেম্ববার না থাকায় রোগী দেখতে পারছেন না। এমনকি তাদের থাকার মতো কমপ্লেক্স চত্ত্বর আবাসিক ভবন না থাকায় তারা বাহিরে কোন অভিজাত হোটেলে থেকে এসে কমপ্লেক্সে রোগী দেখতে হিমশিম খাচ্ছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ৩৮ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও ডাক্তার আছেন ৩০জন, নার্স ১৬জনের মধ্যে রয়েছে ১২জন । উপজেলার প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নির্শ্চিত করতে হলে দ্রুত এ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা বৃদ্ধিসহ বিকল হওয়া এক্স-রে মেশিন মেরামত ও প্রযোজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি এবং বিষেজ্ঞ চিকিসকের নিদিষ্ট চেম্বার স্থাপন করতে একাবাসীর দাবী জানিয়েছেন।