খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫, হোমনা, কুমিল্লা : কুমিল্লার হোমনায় ২/৩ বছর আগে নিয়মানুযায়ী আবেদন করেও বিদ্যুৎ সংযোগ না পাওয়ায় কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুত সমিতি-৩ এর দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক দুটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ভূক্তভোগিরা।
এক মাসের মধ্যে আবেদনগুলো নিষ্পত্তি ও চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পবিস- ০৩ এর এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস ও সহকারী প্রকৌশলী পবিত্র কান্তি লালকে ভূক্তিভোগিদের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ দেন কুমিল্লা জজকোর্টের এপিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ নূরুর রহমান। উল্লেখিত সময়ের দুই দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের রুহুল আমিন, বাগমারা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন এবং মিঠাইভাঙ্গা গ্রামের সমীর চন্দ্র ঘোষ, আব্দুল মতিনসহ আরো অন্যান্য গ্রামের অনেকে বিদ্যুত সংযোগ পেতে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -৩ এর নিকট আবেদন করেন। এর ফলে পবিস-৩ কর্তৃক ৫/৬ মাস পূর্বে গ্রামগুলো পরিদর্শন করে ছক তৈরি করা হয়। নোটিশ গ্রহিতারা রহস্যজনক কারণে ভূক্তভোগিদের আবেদনগুলো আটকে রাখে এবং নিজেদের পছন্দের এলাকায় ওভারলোড ট্রান্সফর্মার পরিবর্তন করে নতুন ট্রান্সফর্মার স্থাপন করছে। ফলে ওই গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর এজিএম প্রকৌশলী রাজন কুমার দাস মোবাইল ফোনে বলেন, ‘২/৩ বছর আগে ফিডার, সাবস্টেশন এবং ট্রান্সফর্মার ওভারলোডের কারণে সরকারীভাবেই সংযোগ দেয়া বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেয়া হয়েছিল। ট্রান্সফর্মার ওভারলোডের সমস্যাটি এখনও রয়েছে। বাতিল হওয়াদের মধ্যে নতুন করে যারা আবেদন করেছেন লোড থাকা ট্রান্সফর্মারের আওতায় পর্যায়ক্রমে তাদের সংযোগ দেয়া হচ্ছে।’
সহকারী প্রকৌশলী পবিত্র কান্তি লাল মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সবগুলোর সমাধানতো এক সাথে করা সম্ভব না। ধীরে ধীরে এগুচ্ছি। ইতোমধ্যে দুটি স্পটে ট্রান্সফর্মার পরিবর্তন করেছি, আরও একটির কাজ করছি। ক্রমানুসারে মিটার সংযোগ দিতে পারবো।’