খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫: পূর্ব ইউক্রেনের বিধ্বস্ত মালয়েশিয়া বিমান এমএইচ ১৭ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নেদারল্যান্ডের সেফটি বোর্ড। ঘটনার ১৫ মাস পর এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।প্রতিবেদনের দায়ী ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি। খবর বিবিসির। ২০১৪ সালে ১৭ জুলাই নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডার্ম থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে উড়ে যাচ্ছিলো ফ্লাইট এমএইচ ১৭। পূর্ব ইউক্রেনের আকাশে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ হিসেবে উচ্চ শক্তির বস্তু বিমানটিকে বাইরে থেকে আঘাত করেছিল এ কথা বলা হয়। বিমানটিতে ক্রু সহ ২৯৮ জন যাত্রী ছিল। তারা সবাই এ ঘটনায় নিহত হয়েছে। নিহত যাত্রীদের মধ্যে নেদারল্যান্ডের নাগরিকই ছিল ১৯৩ জন। আরেকটি তদন্ত আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা করছে। ধারণা করা হচ্ছে সেটি বেশ কিছু দিন পর প্রকাশকরা হবে। পূর্ব ইউক্রেনের বিধ্বস্ত এই বিমান নিয়ে রয়েছে পাল্টা পাল্টাপাল্টি মত। বিমানটিকে বাক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বিধ্বস্ত করা হয়েছে। এমন তথ্য খবরে বলা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্র কারা ছুড়ে ছিল তা নিয়ে রয়েছে পাল্টাপাল্টি মত। ইউক্রেন বলছে এটি পূর্ব ইউক্রেনের রুশ বিদ্রোহীরা মেরেছে। অন্যদিকে রাশিয়া বলছে এটি ইউক্রেন মেরেছে। নেদারল্যান্ডের তদন্ত প্রতিবেদন কার ক্ষেপণাস্ত্রে ফ্লাইট এমএইচ১৭ বিধ্বস্ত হয়েছে তা বলা হয়নি। তবে তারা ভূমি থেকে আকাশে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি নিশ্চিত করেছে। এই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে নেদারল্যান্ড কর্তৃপক্ষ দোনেৎস্ক থেকে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তুপ নেদারল্যান্ডে এনে পরীক্ষা করে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপকে জোড়া দেয়া হয়। বিমানটি মধ্য আকাশে কেন বিচ্ছিন্ন হল? যুদ্ধ বিধ্বস্ত অঞ্চল দিয়ে কেন বিমানের যাত্রা পথ ছিল? কেন নিহতদের পরিবারকে তাদের প্রিয়জনের মরদেহ পেতে দেরি হল? দুর্ঘটনার আগে যাত্রী ও পাইলট ক্রুদের মধ্যে কি ধরনের কথা বার্তা হয়েছিল। এসব বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল।