খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫: বিএসআরএম গ্রুপের দুটি কোম্পানি বিএসআরএম লিমিটেড ও বিএসআরএম স্টিলসের বোর্ডসভা ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ও ফু-ওয়াং ফুড ২১ অক্টোবর তাদের সভা করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে, ফু-ওয়াং ফুড ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ, রেকর্ড ডেট ও বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বাকি ৩ কোম্পানি তাদের সর্বশেষ প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করবে। বিএসআরএম লিমিটেড : সম্প্রতি ‘এন’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস লিমিটেড। সর্বশেষ প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ১৮ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা নিট মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। এ সময় তাদের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮ পয়সা; যা আগের বছর একই সময় ছিল মাত্র ২০ পয়সা। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ নগদ লভাংশ দিয়েছে বিএসআরএম লিমিটেড। তখন ইপিএস ছিল ৭৪ পয়সা। ডিএসইতে সোমবার এর শেয়ারদর ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ১২৭ টাকায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে এর দর ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৪০ টাকা ৪০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে। বিএসআরএম স্টিলস : চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে পর্ষদ সভার কথা জানিয়েছে বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ১০৫ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা নিট মুনাফা করেছে কোম্পানিটি। এ সময় ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৩৯ পয়সা। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে বিএমআরএম স্টিলস। তখন কোম্পানির ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৬৩ পয়সা। ডিএসইতে সোমবার এর শেয়ারদর ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৯৩ টাকায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে এর দর ৫৩ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকার মধ্যেম ওঠানামা করে। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স : চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে ২১ অক্টোবর পর্ষদ সভা করবে বলে জানিয়েছে সাধারণ বীমা কোম্পানিটি। প্রথমার্ধে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় কমেছে ইন্স্যুরেন্স খাতের কোম্পানিটির। জানুয়ারি-জুন সময়ে এর ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৭২ পয়সা; যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২ টাকা। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স। তখন কর-পরবর্তী ইপিএস ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। ডিএসইতে সোমবার এর শেয়ারদর ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৩৪ টাকায় লেনদেন হয়। ফু-ওয়াং ফুড : ২০১৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করতে ২১ অক্টোবর পর্ষদ সভা করবে ফু-ওয়াং ফুড। পরিচালনা পর্ষদের এ সভায় সমাপ্ত হিসাব বছরের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ ঘোষণার কথা রয়েছে এ সভায়। একই সঙ্গে রেকর্ড ডেট ও এজিএমের তারিখ ঘোষণার কথা রয়েছে। হিসাব বছরের প্রথম তিন (জুলাই ‘১৪-মার্চ ‘১৫) প্রান্তিকে ৯ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা নিট মুনাফা করেছে ফু-ওয়াং ফুড। এ সময় ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা; যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬৬ পয়সা। ২০১৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। তখন ইপিএস ছিল ৯১ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়ায় ১৩ টাকা ৫১ পয়সা। এদিকে ডিএসইতে সোমবার ফু-ওয়াং ফুডের শেয়ারদর দশমিক ৪৯ শতাংশ কমে সর্বশেষ ২০ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়। গত এক বছরে এর দর ১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২৮ টাকা ২০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।