খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর ২০১৫: আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর আসন টাঙ্গাইলের কালিহাতীর উপ-নির্বাচনে তার ছোট ভাই আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও কাদেরের স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকীসহ চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে বুধবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে কাদের সিদ্দিকীর দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা দুই ঘণ্টা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখিয়েছে। এ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার যাচাই-বাছাইয়ে মোট চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। কাদের সিদ্দিকী ও নাসরিন সিদ্দিকী ছাড়া বাকি দুজন হলেন- জাতীয় পার্টির (জাপা) সৈয়দ মুশতাক হোসেন রতন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আলীম। বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের অপর দুই প্রার্থী ইকবাল হোসেন সিদ্দিকী ও হাসমত আলী, এনপিপির ইমরুল কায়েস, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাদেক খান ও বিএনএফ-এর আতাউর রহমান খানের প্রার্থিতা বৈধতা পায়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ১০ জনের মধ্যে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় এখন ছয় জন বৈধ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেন। এদের কেউ চাইলে ২১ অক্টোবরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ২২ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে প্রচারণা। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী টাঙ্গাইল-৪ আসনের উপ-নির্বাচন হবে আগামী ১০ নভেম্বর। এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিলের পর দুপুরে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ঘোষণা দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী। তার অভিযোগ, উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার ও তার স্ত্রীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। দুপুরে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের কয়েকশ নেতাকর্মী বিক্ষোভ করতে থাকলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ২টার দিকে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। হজ নিয়ে মন্তব্য করে মন্ত্রিত্ব ও দলের সদস্যপদ হারানোর পর লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ালে আসনটি শূন্য হয়।