Sun. Jul 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

dinajpurখোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫, দিনাজপুর : পার্বতীপুরে ধানের শীষ বের হওয়া ও দানা বাধার মুহুর্তে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধানের চিটা ও দানা অপুষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে শ্যালো মেশিন দিয়ে সম্পূরক সেচ দিচ্ছে।
পার্বতীপুরে রোপা আমন ক্ষেতের মাটির রসের অভাব দেখা দেওয়ায় ধানের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ধানের শীর্ষ বের হওয়া ও দানা বাধার মুহুর্তে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ধানের চিটা ও দানা অপুষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। তবে মৌসুমে শুরুতে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় সংকটে পড়ে রোপা আমন। অনাবৃষ্টির কারণে আমন ক্ষেতের জমি ফেটে চৌচির হয়ে যায়। মাঠ ভরে যায় নানা রকম আগাছায় তবে আমন মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে ভালো বৃষ্টিপাত হয়।
গত সোমবার পার্বতীপুর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের কৃষক নুর আলম জানান, ধানের শীষ বের হওয়া ও দানা বাধার মুহুর্তে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ধানের চিটা ও দানা অপুষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দুই বিঘা জমিতে মামুন স্বর্ণা ধান ক্ষেতে শ্যালো মেশিন দিয়ে সম্পূরক সেচ দিচ্ছি।
এ ব্যাপারে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পার্বতীপুর জোন এর সহকারী প্রকৌশলী বাসুদেব দে বলেন, এ বছরের আগষ্ট থেকে সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত পার্বতীপুরে ৫০৯ মিলি লিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত পহেলা সেপ্টম্বর থেকে ২৩ সেপ্টম্বর পর্যন্ত ২১৬ মিলি লিটার বৃষ্টিপাত হলেও এর পর থেকে পার্বতীপুরে আর কোন ও বৃষ্টিপাত হয়নি।
পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ্ মো. রওশন কবির বলেন, শেষ মুহুর্তে পার্বতীপুরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমন ক্ষেতে রসের অভাব দেখা দিয়েছে। এসব এলাকায় সংকট মোকাবিলায় কৃষকদের ধানক্ষেতে সম্পূরক সেচের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি আরো জানান, শীতের শিশির পড়ায় খিছুটা হলেও এ সমস্যা কেটে যাবে।
উল্লেখ্য, পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, পার্বতীপুর উপজেলায় এবার ২৭ হাজার ৯শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন লাগানো হয়েছে।