খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫, দিনাজপুর : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উপজেলা পরিষদের আবাসীক গেটের সামনে, এক শিক্ষকের বাড়ীতে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকতরা গৃহকর্তাসহ বাড়ীর সদস্যদের অস্ত্রে মুখে জিম্ম করে বাড়ীতে থাকা নগদ টাকাসহ তিন লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৩টায়, উপজেলা পরিষোদের আবাসীক গেটের সামনে এক শিক্ষকের বাড়ীতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে উপজেণ্ নির্বাহী অফিসার এহেতেশাম রেজা ও ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওই দিন বাড়ীর মালিক শিক্ষক মঈনুদ্দিন আহম্মেদ বাদি হয়ে, ফুলবাড়ী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদি মঈনুদ্দি আহম্মেদ বলেন, সোমবার দিবাগত ভোর রাত সাড়ে ৩টার সময় ১৫/২০ জনের একটি ডাকাতদল তার বাড়ীর প্রধান গেট ভেঙ্গে বাড়ীতে প্রবেশ করে, এসময় সেসহ তার স্ত্রী অন্য ভয় পেয়ে একটি ঘরে আত্মগোপন করলে, ডাকাত সদস্যরা তার ১৫ বছর বয়সী ছেলে মিরাজকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে, তাদের ছেলেকে জিম্মি করায় তারাও তাদের ঘর থেকে বেরিয়ে আসলে, ডাকাত সদস্যরা তাদেরকেও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তাদেরকে জিম্মিকরে, বাড়ীতে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা, ১টি ১২৫সিসি ডিসকভারী মটর সাইকেল, ২ভরী স্বর্ণ অলংকর ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়, যার আনুমানীক মুল্য ৩লাক টাকা।
প্রতিবেশি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ী চালক সামছুল আলম জানায়, ডাকাত দলটি শিক্ষক মঈনুদ্দিন আহম্মেদ এর বাড়ীতে ডাকাতী করার সময়, প্রতিবেশি হিসাবে তার বাড়ীর গেচে, উপজেলা আবাসীক এলাকায় বসবাসকারী ব্যংক কর্মকর্তা কারেজুলের বাড়ীর গেটে, উপজেলা হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা আনছার আলীর বাড়ীর গেটে অস্ত্র নিয়ে দাড়ীয়ে থাকে, যাতে কেউ বাড়ীর বাহীরে যেতে না পারে। এ ছাড়া আশ-পাশের বাড়ীর গেটে বাহীর থেকে বন্ধ করে দেয়।
মঈনুদ্দিনের স্ত্রী শিক্ষিকা আজিজা খানম বলেন, ডাকাত দলটি আধা ঘন্টা ধরে বাড়ীতে দুধর্ষ ডাকাতি করলেও পুলিশ আসেনি। তিনি আরো বলেন ডাকাত সদস্যদের মুখ বাধা পরনে হাফ প্যান্ট পরা ছিল, তাদের হাতে ছুরি, লাঠি ও অস্ত্র াছল।
এই বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডাকাতদের ধরার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে উপজেলা আবাসীক এলাকায় দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটায় আতংকিত হয়ে পড়েছে উপজেলার আবাসীক এলাকায় বসবাসকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পৌর এলাকার বাসীন্দারা। উপজেলা আবাসীক এলাকায় বসবাসকারী ব্যাংক কর্মকর্তা কারেজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মঈনুদ্দিনের বাড়ীতে ডাকাতি করার সময় উপজেলার আবাসীক এলাকায় বসবাসকারী অনেক সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বাড়ীতেও ডাকাত সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিল। এই ঘটনায় তারা আতংকিত হয়ে পড়েছেন।