Sat. Jul 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

gopalganjখোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫, গোপালগঞ্জ : ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘটনাবলীর মধ্যে অন্যতম এবং ভয়াবহতম ঘটনা সংঘটিত হয় ১৪ অক্টোবর তারিখে। এদিনে হেমায়েত বাহিনীর সাথে পাকিস্থানী বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয় গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার রাজাপুর গ্রামে। মুলত ১৩ অক্টোবর থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সাড়াশী আক্রমনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায় হেমায়েত বাহিনী ও অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা। ১৪ অক্টোবর তুমুল যুদ্ধের সময় ২ জন পাকিস্থানী সৈন্য নিহত হয়। রক্তক্ষয়ী ঐ যুদ্ধে ইব্রাহিম নামে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। যুদ্ধের সময় হেমায়েত বাহিনী প্রধান হেমায়েত আহত হয়। সম্মুখ যুদ্ধে অগ্রবর্তী অবস্থানে থেকে নেতৃত্ব দেন হেমায়েত। হেমায়েত বাহিনী প্রধান ক্যাপ্টেন হেমায়েত উদ্দিন রাজাপুরের যুদ্ধের সাফল্য ও সাহসিকতায় বীর বিক্রম উপাধি প্রাপ্ত হন বলে জানা যায়। তিনি সমগ্র কোটালীপাড়া অঞ্চল নিয়ন্ত্রনে আনেন যুদ্ধকালীন সময়ে। ক্যাপ্টেন হেমায়েত ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পাকিস্থান থেকে প্রথমে ভারতে আসেন। সেখান থেকে নির্দেশনা পেয়ে তিনি গোপালগঞ্জে আসেন শত্রুমুক্ত করতে। কোটালীপাড়ায় কয়েকজনকে সাথে নিয়ে প্রথমে তিনি থানা আক্রমন করে অস্ত্র ও গোলাবরুদ দখল করেন। পরে তিনি হেমায়েত বাহিনী গঠন করেন।
অক্টোবর মাসের শেষ দিকে জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরায় পাকিস্থানী বাহিনীর সাথে তুমুল যুদ্ধ হয় মুক্তিযোদ্ধাদের। মুক্তিযোদ্ধারা অ্যামবুশ করে পাকিস্থানীদের। ফুকরায় ৩ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ৪০ জন গ্রামবাসী শহীদ হয়।