Tue. May 6th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫ : কমলা রং ছাড়া ইউরোপ-সেরার প্রতিযোগিতা ভাবা 91যায় নাকি! ১৯৮৪ সালের পর হল্যান্ড ছাড়া আয়োজিত হয়নি ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের একটি চূড়ান্তপর্বও। ৩২ বছর পর ২০১৬ সালের ইউরো আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘টোটাল ফুটবলের’ জনকদের ছাড়াই। বাছাইপর্বে নিজেদের গ্রুপে ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে চেক প্রজাতন্ত্র, আইসল্যান্ড আর তুরস্কের নিচে থেকে ইউরোর চূড়ান্তপর্বে খেলার অধিকার হারিয়েছে গত বিশ্বকাপের তৃতীয় দল এই হল্যান্ড। গতরাতে চেক প্রজাতন্ত্রের বিপক্ষে নিজেদের হোম ম্যাচটি অনেক সমীকরণ মাথায় নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন আরিয়েন রোবেন-ওয়েসলি স্নাইডাররা। প্লে অফের আশা টিকিয়ে রাখতে হলে চেকদের বিপক্ষে কেবল জয় পেলেই হতো না, অন্য ম্যাচে তুরস্ককে হারতে হতো আইসল্যান্ডের বিপক্ষে। কিন্তু দুই সমীকরণের কোনোটাই মেলেনি, চেকদের বিপক্ষে পাওয়া হয়নি প্রত্যাশার জয়, আইসল্যান্ডও হারাতে পারেনি তুরস্ককে। সব মিলিয়ে ইউরোর চূড়ান্তপর্বে খেলার আশা ত্যাগই করতে হচ্ছে হল্যান্ডকে। চেকদের বিপক্ষে ডাচরা হেরেছে ৩-২ গোলে ন্যূনতম ব্যবধানে। প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর লড়াইটা কঠিনই হয়ে গিয়েছিল ডাচদের জন্য। ম্যাচের ৬৬ মিনিটে রবিন ফন পার্সির আত্মঘাতী এক সর্বনেশে গোল হল্যান্ডকে পিছিয়ে দিয়েছিল ৩-০ গোলে। তিন গোলে পিছিয়ে পড়া ম্যাচেও দুর্দান্ত লড়াই করে ম্যাচে ফেরার চেষ্টাটা করেছে ড্যানি ব্লিন্ডের দল। ৭৭ আর ৮৩ মিনিটে দুটো গোল শোধ করেও শেষ রক্ষা হয়নি হল্যান্ডের। ৭৭ মিনিটে ক্লাস ইয়ান হান্টেলারের গোলের পর ৮৩ মিনিটে নিজের আত্মঘাতী গোলের প্রায়শ্চিত্তটা ফন পার্সি করেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের জালে বল পাঠিয়ে। বড় কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে ম্যাচটা শুরু করলেও ডাচ রক্ষণব্যূহ সেই প্রত্যাশার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে পারেনি। প্রথমার্ধের দুটো গোলের জন্যই কোনো না কোনোভাবে দায়ী করা যায় হল্যান্ডের রক্ষণভাগকে। ম্যাচের ২৪ মিনিটে চেক প্রজাতন্ত্রের পাভেল কাদেরাবেক বাম দিক দিয়ে খুব সহজেই ঢুকে পড়ে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে। এর আগে টমাস নেসিড আর জিরিল স্কালাকের কাছ থেকে পাসও পান ডাচ রক্ষণভাগেরা চোখ এড়িয়েই। ৩৫ মিনিটে চেকদের দ্বিতীয় গোলটিতে ডাচ রক্ষণের ভুল ছিল আরও দৃষ্টি কটু। ভারজিল ফন ডিজিককে খুব সহজেই ফাঁকি দিয়ে হল্যান্ডের জালে বল পাঠিয়ে দেন জোসেফ সুরাল। ৬৬ মিনিটে আমস্টারডাম অ্যারেনাকে হতবাক করে দেন রবিন ফন পার্সি আত্মঘাতী গোলে। তিন গোলে পিছিয়ে পড়ার লড়াইয়ের আর কীইবা অবশিষ্ট থাকে। কিন্তু ডাচরা লড়ে দেখিয়েছে। দুটো গোল শোধ করার পর রবিন ফন পার্সির সেই আত্মঘাতী গোলটি নিশ্চয়ই আক্ষেপে পুড়িয়েছে ডাচদের। ম্যাচ শেষে হল্যান্ডের ইউরো-ব্যর্থতার পুরো দায়ভারই নিজেদের কাঁধে নিয়েছেন ওয়েসলি স্নাইডার। হল্যান্ডের রেডিও এনওএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, এই ব্যর্থতার দায়ভার আমাদের সকলেরই। আমরা নিজেরাই সুযোগ হারিয়েছি। দল হিসেবে আমরা ভালো খেলতে পারিনি। প্রতিটি বিভাগেই আমাদের ঘাটতি ছিল। খুব সহজেই প্রতিপক্ষকে জড়াও হতে দিয়েছি আমাদের ওপর। একের পর এক বাজে গোল খেয়ে নিজেদের পেছনের দিকেই ঠেলেছি।’ সূত্র: রয়টার্স।