খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫ : নিজেকে আকর্ষণীয় ও সুন্দরভাবে উপস্থাপনের জন্য খরচ করেন নারীরা। শুধু পোশাক, পার্স, জুতা নয়, প্রসাধনীর জন্যও ব্যয় করেন তারা। এক্ষেত্রে সবার আগে থাকবে পারফিউম বা সুগন্ধীর নাম। নারীরা যে ধরণের পারফিউম বেশি পছন্দ করেন তা নিয়ে এই প্রতিবেদন। কোকো চ্যানেল নারীদের সবচেয়ে পছন্দের একটি পারফিউম ব্র্যান্ড। ১৯২১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নারীদের কাছে সমান জনপ্রিয় এই ব্র্যান্ডের পারফিউম। তাই একে বলা হয় ‘সেন্ট অব ওম্যান’। চিরআকর্ষণীয় এই পারফিউম তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ভ্যানিলা, গোলাপ ও জেসমিনের উপাদান। শালিমার আরেকটি জনপ্রিয় পারফিউমের নাম শালিমার। ১৯২৫ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে ক্লাসিক এই পণ্যটি। এটা তৈরির পেছনে ছোট একটা গল্প আছে। এক রাজা তার প্রেমিকার সঙ্গে প্রথমবার দেখা করেছিল শালিমার বাগানে। সেই স্মৃতিকে ধরে রাখতে এই সুগন্ধীর এমন নামকরণ করা হয়েছে। ইরিস, জেসমিন, গোলাপ ও ভ্যানিলার উপাদান দিয়ে তৈরি সুগন্ধীটি। পয়জন বিষ নয়, বরং এর গন্ধ ছড়িয়ে দেবে আকর্ষণ করার বার্তা। ওয়ার্ম ও স্পাইসি ধরণের এই পারফিউম দারুণ পছন্দ নারীদের। এটি বাজারজাত করা হয় ১৯৮৫ সালে। ল’এয়ার ডু টেম্পস সুগন্ধীর রানী বলা হয় এই পারফিউমকে। ১৯৪৮ সালে বিখ্যাত ফ্যাশন হাউজ নিনা রিচ্চি এই পারফিউম বাজারজাত করে। এখনো অবধি দারুণ জনপ্রিয় ফ্রান্সের এই সুগন্ধী। গার্ডেনিয়া, মাস্ক, গোলাপ ও সান্ডালউডের উপাদান দিয়ে তৈরি ল’এয়ার ডু টেম্পস। ক্লাসিক সুগন্ধীর এই ব্র্যান্ডটি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নান্দনিক বোতল ও পাগল করা গন্ধের জন্য। শুধু নারীদের বিষয়টি মাথা রেখেই তৈরি করা হয়েছে পারফিউম। মিষ্টি গন্ধযুক্ত এই সুগন্ধী তৈরিতে ব্যবহার করা হয় গোলাপ, পিয়ার, অর্চিড ও অরেঞ্জ। কোকো মাডেমোসেলি বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত পারফিউমের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে কোকো মাডেমোসেলি পারফিউম। নতুন ধরনের এই পারফিউমটি বাজারে এসেছে ২০০১ সালে। এটা তৈরিতে ব্যবহার হয় গোলাপ, জেসমিন, ভ্যানিলা ও মান্ডারিনের উপাদান। অপিয়াম যেদিন নারীরা দিনটিকে নিজের করে নিতে চান যেদিন তারা ব্যবহার করেন অপিয়াম। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যবহৃত সুগন্ধী এটি। ১৯৭৭ সালে বাজারে আসার পর আজও নারীদের কাছে একটুও আকর্ষণ হারায়নি অপিয়াম। ইয়ুথ ডিউ নামের মতোই আকর্ষণীয় একটি ব্র্যান্ড এটি। বাজারে আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত এই ব্র্র্যান্ডের ২৫ কোটি বোতল কিনেছেন সুগন্ধী প্রিয় নারীরা। বছরের পর বছর ধরে এটি ওম্যান পারফিউম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আউ ডায়নামিসান্টে সুগন্ধীর জগতে নতুন এক ধারণার জন্ম দিয়েছে এই পারফিউম। এটা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে লেমন, অরেঞ্জ ও রোসেমারির উপাদান। তত্বের জন্য উপকারী অ্যারোমেটিক তৈলও রয়েছে ১৯৮৭ সালে বাজারে আসা এই সুগন্ধীতে। কালভিন ক্লেইন ইউফোরিয়া আধুনিক যুগের দারুণ একটি সুগন্ধী ব্র্যান্ড ইউফোরিয়া। এটা খুবই স্পেশাল। কারণ এটির গন্ধ খুব সহজেই অন্যদের আকর্ষণ করে। ইউফোরিয়া তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ব্ল্যাক অর্চিড, পোমেগ্রেনাট, ভিওলেট, এম্বার ও মেহগনি উডের উপাদান।