খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০১৫ : ৫ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস ২০১৫’ কে সামনে রেখে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি এবং ইকুইটিবিডি। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস ২০১৫ উপলক্ষে ‘গ্রামীণ নারীর স্বাস্থ্য ঝুঁকি: কীটনাশকের বিকল্প নাও, গ্রামীণ নারীর জীবন বাঁচাও’ শীর্ষক এক আলচনা সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। জাতীয় পর্যায়ের কর্মসূচির মধ্যে আছে- ১৪ অক্টোবর মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন। ১৫ অক্টোবর জেলা পর্যায়ে গ্রামীণ নারীদের প্রতি অবদানের জন্য সম্মাননা (প্রতি জেলায় ৫ জন), প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আলোচনা সভা-সেমিনার, র্যালি, মেলা, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনা সভায় জানানো হয়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ১০ বছর ধরে পরিচালিত এক গবেষণা দেখা গেছে যেসব গর্ভবর্তী নারী গর্ভবস্থায় কীটনাশকের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের সন্তানদের বুদ্ধি অনান্য বাচ্চাদের তুলনায় কম। অন্য আরেকটি গবেষণায় প্রমানিত হয়েছে যে, কীটনাশকের প্রভাবে নারীর স্বাভাবিক প্রজনন প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যহত হতে পারে।’ আলোচকরা বলেন, ‘আমাদের দেশে গ্রামীণ নারীরা কখনও সরাসরি কীটনাশক ব্যবহার করেন। অন্যদিকে সাধারনত দেখা যায় যে পুরুষেরা কীটনাশক ব্যবহার করলেও এগুলো রক্ষাণাবেক্ষণের কাজ করে থাকেন নারীরা। কীটনাশকের বিভিন্ন ধরনের বোতল নারীরা ভালো করে ধুয়ে সংরক্ষনের চেষ্টা করেন, এই কাজিটিও করার সময়েও তারা বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাসের সংস্পর্শে চলে আসেন। এগুলো থেকেও তারা নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতায় ভুগেন। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিউট একটি গবেষণায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় শাক সবজি, চিংড়ি এবং শুটকিতে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের উপস্থিতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, সেই গবেষণায় ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দেশের ১২টি জেলা থেকে সংগৃহীত ৪৫৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৪% নমুনাতেই ক্ষতিকর ডিডিটি পাওয়া যায়, এই ডিডিটি বিশ্বব্যাপি নিষিদ্ধ। তারা বলেন, আমরা স্বরণ করতে পারি যে ২০০৯ সালে ধামরায়ে ৩ জন এবং ২০১৩ সালে দিনাজপুরে ১৪ শিশুর রহস্য জনক মৃত্যু হয়েছিলো খাদ্যে কীটনাশকের ফলে। আলোচনা সংগঠনের শামিমা আক্তারের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- মডারেটর মোস্তফা কামাল আকন, বদরুল আলম, রুমি আক্তার, সাভার উপজেলা সভাপতি তাসমিন চৌধুরী প্রমুখ।