খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাংসদ মনজুরুল ইসলাম লিটনকে গাইবান্ধায় নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এই সাংসদকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাংসদ মনজুরুলকে আজ যেকোনো সময় বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হবে।
মনজুরুল গ্রেপ্তার হওয়ায় এলাকার মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করেছে। বিভিন্ন হাটবাজারে মিষ্টি বিতরণ হয়েছে। তারা সাংসদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে।
শিশু শাহাদাত হোসেনকে গুলি করার ১৩ দিনের মাথায় গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন মনজুরুল। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাংসদকে গাইবান্ধার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতেই তাঁকে নিয়ে গাইবান্ধার উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ।
এর আগে দুপুরে সাংসদকে বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ-সংক্রান্ত হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশনা স্থগিত করেন আপিল বিভাগের অবকাশকালীন বেঞ্চ।
গত সোমবার হাইকোর্ট সাংসদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত চেয়ে গত মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তা স্থগিতের আদেশ দেন।
২ অক্টোবর সাংসদ মনজুরুলের ছোড়া গুলিতে সুন্দরগঞ্জ গোপাল চরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শিশু শাহাদাত হোসেন (৯) আহত হয়। দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সে এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শাহাদাতের পরিবার থাকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের গোপালচরণ গ্রামে। ঘটনার দিন সকালে চাচা শাহজাহান আলীর সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিল শাহাদাত। সকাল পৌনে ছয়টার দিকে বাড়ির পাশে সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কে ব্র্যাক মোড় এলাকায় গুলিবর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।