খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : শিশুকে গুলির মামলার গ্রেপ্তার সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গাইবান্ধার আদালতে হাজির করার সময় বাইরে তার সমর্থকরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরের আগে আগে এ ঘটনায় পুলিশের লাঠিপেটা ও রাবার বুলেটে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
বুধবার রাতে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তারের পর লিটনকে ভোরের দিকে গাইবান্ধা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তাকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে নিয়ে আসা হয়।
এর ঠিক আগে আগে সুন্দরগঞ্জ থেকে লিটনের হাজারখানেক সমর্থক মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় ১৫ মিনিট ধাওয়া চলার পর পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর এমপি লিটনকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মইনুল হাসান ইউসুফের আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ এই সংসদ সদস্যকে সাত দিনের রিমান্ডে চেয়েছে এবং লিটনের আইনজীবী এর বিরোধিতা করে জামিন চেয়েছেন বলে শোনা গেলেও এ বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
গত ২ অক্টোবর গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য লিটনের ছোড়া গুলিতে শাহাদাত হোসেন সৌরভ নামে নয় বছর বয়সী এক শিশু আহত হয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
আহত সৌরভের বাবা সাজু মিয়া ঘটনার পরদিন সাংসদ লিটনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন হাফিজার রহমান নামে সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর শাহাবাজ গ্রামের এক বাসিন্দা।
ওই দুই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে লিটন হাই কোর্টে আবেদন করলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর অবকাশকালীন বেঞ্চ সোমবার তা খারিজ করে দেয়। সেইসঙ্গে সাংসদ লিটনকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে গাইবান্ধার মুখ্য বিচারকি হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু লিটনকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ আত্মসমর্পণের ওই আদেশ স্থগিতের আবেদন করলে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত বুধবার তাতে সায় দেয়। ফলে লিটনকে গ্রেপ্তারের আইনি বাধা কাটে এবং রাতেই এই জনপ্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়।