Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

6খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : রাজধানীর বাড্ডায় পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ খিজির খানকে গলা কেটে হত্যার পরিকল্পনার হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
এদের একজনকে টাঙ্গাইল থেকে এবং একজনকে ঢাকার মিরপুর থেকে করেছে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বুধবার রাতে জানান।
এদের একজন তরিকুল ইসলাম তারেক (২৩)। তাকে মঙ্গলবার রাতে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার মৌলভীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দেলদুয়ার থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানিয়েছিলেন।
ওসি মোশরাররফ বুধবার সকালে বলেন, “রাতে ঢাকা ডিবি পুলিশের একটি দল অত্যন্ত গোপনীয়তার মধ্যে মৌলভীপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই যুবক আটক করে নিয়ে যায়।”
মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, “আমার কিছু জানা নাই।”
এরপর রাতেই তিনি তারেক এবং ঢাকা থেকে আলেক বেপারী নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তারের খবর নিশ্চিত করেন।
দেলদুয়ারের মৌলভীপাড়ার পিয়ার আলীর ছেলে তারেক নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবির নেতা এবং খিজির হত্যাকাণ্ডের হোতা বলে পুলিশের দাবি।
তারেকের কাছ থেকে দুটি ল্যাপটপ এবং দুটি ক্যামেরা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ১০ দিন আগে বাড্ডায় খিজির খানকে হত্যার সময় তারেক উপস্থিত ছিলেন।
এই গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বৃহস্পতিবার গোয়েন্দা পুলিশ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় নিজের বাড়িতে খুন হন ৬৮ বছর বয়সী খিজির খান। নিজের বাড়িতে একটি খানকা শরীফ ছিল তার, তাকে অনেকে পীর মানত।
বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ৫/৬ জন ঢুকে তাকে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত খিজিরের বাবার নাম হাবিব রহমত উল্লাহ। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর এলাকায় তার বাড়ি। তিনি পীর ছিলেন। প্রায় ১২ বছর আগে তিনি মারা যাওয়ার পর পীরের ছেলে হিসেবে খিজির খানের শিষ্যত্ব নেন মুরিদরা।
এক বছর আগে ২০১৪ সালের ২৭ অগাস্ট ঢাকার রাজাবাজারের বাসায় একইভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছিল ইসলামী ফ্রন্টের নেতা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে। তার আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে রাজধানীর গোপীবাগে খুন করা হয় কথিত পীর লুৎফর রহমানকে।
ওই দুটি হত্যাকাণ্ডের কোনো কূল-কিনারা গোয়েন্দারা করতে না পারলেও তাদের ধারণা, মতাদর্শিক বিরোধের কারণে জঙ্গিবাদীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।