খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : যুক্তিগত লক্ষ্য তো আছেই। তবে সেই লক্ষ্য ছাপিয়েও জিম্বাবুয়ে সফরে দলীয় অর্জনটাই বড় শুভাগত হোমের কাছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই সংস্করণেই সিরিজ জিততে চান। কাজে লাগাতে চান তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রস্তুতিমূলক সিরিজটাও। আফ্রিকা সফরে গত রাতে দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে সেই লক্ষ্যের কথাই জানিয়ে গেলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়ক। ৩৫ দিনের সফরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার আইরিন ভিলেজার্স ক্লাবের সঙ্গে দুটি এক দিনের ও একটি তিন দিনের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। পরে আরেকটি এক দিনের ম্যাচ গোটেং স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। মূল সিরিজটা অবশ্য জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে। যেটিতে দুটি চার দিনের ও তিনটি এক দিনের ম্যাচ। দুটি সিরিজই জেতার লক্ষ্য ঠিক করে ফেলেছেন শুভাগত, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমে প্রস্তুতি সিরিজ। মূল হচ্ছে জিম্বাবুয়ে “এ” দলের বিপক্ষে খেলাগুলো। এক দিনের ও চার দিনের দুটি সিরিজই জিততে চাই আমরা।’ ‘এ’ দলের সর্বশেষ ভারত সফরে দল খারাপ করলেও শুভাগতর পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। দুটি তিন দিনের ম্যাচ মিলিয়ে রান করেছেন ১৬৭, বল হাতে ৫ উইকেট। এবার আফ্রিকা সফরে নির্বাচকেরা আরও বড় দায়িত্বই তুলে দিয়েছেন তাঁর কাঁধে। যেটি শুভাগতর কাছেও এসেছে বিস্ময় হয়ে, ‘আমি আসলে এটা আশা করিনি। চেষ্টা করব সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে।’ তবে দলগত লক্ষ্য আর অধিনায়কের দায়িত্বের বাইরে একটা ব্যক্তিগত লক্ষ্যও যে আছে, সেটাও স্বীকার করলেন শুভাগত, ‘এই ম্যাচগুলো তো আসলে জাতীয় দলে ঢোকার জন্যই। এখানে ভালো পারফর্ম করলে আশা করি আবার জাতীয় দলে ঢুকতে পারব।’ দক্ষিণ আফ্রিকায় যে দুটি দলের বিপক্ষে খেলা, তার মধ্যে গোটেং স্ট্রাইকার্স রাজ্য দল। কিন্তু আইরিন ভিলেজার্স ক্লাব আক্ষরিক অর্থেই গ্রামপর্যায়ের ক্লাব। এ ধরনের দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দল খেলে আসলেই কি কোনোভাবে লাভবান হবে, সেই প্রশ্নও উঠল কাল সংবাদ সম্মেলনে। তবে সফরে ‘এ’ দলের ম্যানেজার ও জাতীয় নির্বাচক হাবিবুল বাশারের দাবি করলেন, ‘যাদের সঙ্গে খেলা, এর মধ্যে একটা দল প্রথম শ্রেণির। আর বাকি দলটা ভিলেজ টিম হলেও প্রথম শ্রেণির অনেক ক্রিকেটার আছে। আমরা জানি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম শ্রেণির বা মাঝামাঝির দলগুলো অনেক শক্তিশালী হয়। আমার মনে হয় খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা হবে।’ খেলোয়াড়ি জীবনে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গেছেন হাবিবুল বাশার। সেই অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগিয়ে ‘এ’ দলকে সাহায্য করতে চান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন সম্পর্কে তো কিছুটা ধারণা আছেই আমার। আমরা তিন দিনের একটা অনুশীলন সেশন করতে পারব। লম্বা ক্যারিয়ার ছিল আমার। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চেষ্টা করব ওদের যতটুকু সাহায্য করা যায়।