কামরুল হাসান, ঠাকুরগাঁও, খোলাবাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয় দীপশিখা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের স্ত্রীর সঙ্গে ওই স্কুলের পিয়নের অবৈধ সম্পর্ক। রুহিয়া উপজেলার দীপ শিখা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ভবানন্দ্র পালের স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক চলছে তারই স্কুলের পিয়ন দুলালের সাথে।
ঘটনার সূত্রে যানা যায়, ভবানন্দ্র পাল ঠাকুরগাঁও জেলায় বসবাস করে। সে ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া উপজেলায় অবস্থিত দীপশিখা উচ্চ বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত । সে প্রতিদিন ঠাকুরগাঁও সদর থেকে রুহিয়াতে যাওয়া আসা করে।
আরো যানা যায়, ওই স্কুলের পিয়ন দুলাল স্কুল ছুটির পড়ে রুহিয়া থেকে ঠাকুরগাঁও সদরের রোড এলাকায় আরতে কাঁচামালের ব্যবসা করে। এক পর্যায়ে (শিক্ষক) ভবনন্দ্র পালের সাথে (পিয়ন) দুলালের একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং মাঝে মাঝে পিয়ন শিক্ষকের সাথে স্কুলে যাতায়াত শুরু হয়। এতে করে ২ জনের মাঝে গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এরই পেক্ষিতে শিক্ষক পিয়নকে তার বাসার কাঁচা বাজার নিয়মিত দিতে বলে। এখানেই শুরু হয় প্রেমের পৃতি। পিয়ন তার বাসায় প্রতিনিয়তই বাজার দেয় । এভাবেই শিক্ষকের স্ত্রীর সাথে পিয়নের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়।
গত কিছুদিন আগে পিয়নের স্ত্রী তার মোবাইল ফোনে গান শুনার সময় হঠাৎ তার ফোনে পিয়নের সাথে শিক্ষকের স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্কের কথা জানতে পারে। এতে করে পিয়ন ও তার স্ত্রীর মধ্যে এক প্রকার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় । পরে পিয়নের স্ত্রী শিক্ষক ভবানন্দ্র পালের কাছে বিষয়টি জানায়। পিয়নের স্ত্রী তার সংসার ছেড়ে বাপের বাসায় চলে যায়। পরেই শিক্ষেকের স্ত্রীর নামে পিয়নের স্ত্রী ব্রাক ব্যাংকে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।
এরপরের দিন পিয়ন শিক্ষকে স্কুল যাবার পথে রাস্তায় আটকিয়ে বেধর মারধর করে।
এ ব্যাপারে শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটা আমাদের পারিবারিক বিষয়। অন্যদিকে পিয়নের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোনের কোন উত্তর পাওয়া যায়নি ।
ওই এলাকার জৈনিক ব্যক্তি বলেন, পিয়ন ও শিক্ষকের মাঝে পারিবারিক সম্পর্ক নাই। তাই এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে চলছে নানা রকমের গুঞ্জণ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া।