খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৫ : আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রকের দফতরের (সিসিআইই) নতুন নিয়ন্ত্রকের (ঢাকা বিভাগ) দায়িত্ব পেলেন মো. রুহুল আমিন। তিনি এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র সেলে উপ-প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়। আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রকের দফতরের আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রক শহিদুল হকের বিরুদ্ধে গুনে গুনে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠায় তাকে ১১ অক্টোবর প্রত্যাহার করে নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই দিন থেকে সিসিআইইয়ের ঢাকা বিভাগের নিয়ন্ত্রকের পদটি ফাঁকা থাকায় রুহুল আমিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সিসিআইইয়ের নতুন নিয়ন্ত্রকে মো. রুহুল আমিন বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সিসিআইইয়ের নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছি। সরকার বুঝেশুনেই আমাকে এ দায়িত্ব দিয়েছে। আমি যথাযথভাবে ওই দায়িত্ব পালন করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশা করি আগামীতে কোনো ব্যবসায়িকে বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে আমদানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) ও কোনোকিছু রফতানি করতে রফতানি নিবন্ধন সনদ (ইআরসি) নিতে ঘুষ দিতে হবে না।’ এদিকে সিসিআইইয়ের নিয়ন্ত্রক (ঢাকা বিভাগ) শহিদুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্ত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যগ্রহণ ও কর্মস্থল পরিদর্শন শেষে কমিটি ১৩ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের কাছে জমা দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে শহিদুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণে যোগসাজশের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। এর আগে ১২ অক্টোবর শহিদুল হকসহ সিসিআইইয়ের তিনজন কর্মকর্তাকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। তিন কর্মকর্তা হলেন— সিসিআইইয়ের নির্বাহী অফিসার মাসুদ আলম, অফিস সহকারী নূরুল ইসলাম ও মো. ফজলুল হক। সাক্ষীদের দেওয়া তথ্য ও অভিযুক্তের কর্মস্থল পরিদর্শনের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় গঠিত কমিটি। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যাহার আদেশ জারির পর থেকে শহিদুল হক আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রকের দফতরে (ঢাকার ১১১-১১৩, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায়) আসেননি। প্রত্যাহার আদেশ অনুযায়ী তিনি বর্তমানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে হাজিরা দিচ্ছেন। শহিদুল হকে বিরুদ্ধে অভিযোগ বিদেশ থেকে কোনো পণ্য আমদানি করতে গেলে সিসিআইই থেকে আমদানি নিবন্ধন সনদ (আইআরসি) নিতে হয়। বিদেশে কোনোকিছু রফতানি করতে গেলেও এই দফতর থেকে নিতে হয় রফতানি নিবন্ধন সনদ (ইআরসি)। এই দুই সনদ প্রদানের ক্ষেত্রেই তার বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আমদানি-রফতানির পরিমাণের ভিত্তিতে আইআরসি ও ইআরসির মাসুল (ফি) নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে সনদের জন্য নগদ টাকা লেনদেনের সুযোগ না থাকলেও শহিদুল হকের বিরুদ্ধে নগদ টাকা লেনদেন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।