দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচন, জনগণের ক্ষমতায়নের পরিবর্তে ক্ষমতাসীন শাসকদের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সুযোগ সৃষ্টি করবে। এর ফলে দেশে বিদ্যমান লুটেরা শাসকগোষ্টির একচেটিয়া প্রধান্য টিকিয়ে রাখার সুযোগ করে দেবে আর গণতন্ত্রকে করবে দুর্বল বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে অবৈধ ও কালো টাকার খেলা, পেশিশক্তির ব্যবহার, প্রশাসনিক কারসাজি ইত্যাদি থেকে নির্বাচনকে মুক্ত করাটা সবচাইতে জরুরী। তা না করে সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করতেই স্থানীয় নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জেবেল রহমান গাণি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর বারিধারাস্থ বাসভবনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করছিলেন। ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া‘র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ নরসিংদী জেলা আহ্বায়ক মোঃ রফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানহগর সমন্বয়ক আবদুল হালিম, টাঙ্গাইল জেলা সমন্বয়ক প্রফেসর আকবর আলী, শেরপুর জেলা সমন্বয়ক মোঃ ইমামউদ্দিন মিয়া, জমালপুর জেলা সমন্বয়ক হাফেজ খলিলুর রহমান প্রমুখ।
জেবেল রহমান গাণি বলেছেন, দেশের গ্রাম অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিনষ্ট করার জন্যই সরকার এই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা, জনগনের নিরপত্তা, এই ফ্যাসীবাদী সরকারের শাসনামলে জনগন সব হারিয়েছে। তাই সময় এসেছে সরকারের বিরুদ্ধে নতুনভাবে প্রস্তুতি নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা।
সভাপতির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে কোন নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়নি। একদলীয় জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয় সরকারের সকল স্তরের নির্বাচনে সরকার ব্যালট ডাকাতির মাধ্যমে দলীয় লোকদের বসিয়েছে। অন্যদিকে সমগ্র প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে এ অবস্থায় দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার আশা করা কল্পনার রাজ্যে বাস করার মত। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পেশীশক্তি ও সন্ত্রাসের কাছে গোটা জাতি যেখানে জিম্মি হয়ে রয়েছে, সেখানে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে বলে বিশ্বাস করে না। এ অবস্থায় গণতন্ত্র বিপন্ন হবে এবং সরকার একদলীয় বাকশালী শাসন পরিপূর্ণভাবে জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেবে।
সভায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ঘনিষ্ট অনুসারী, ভাষা সৈনিক, প্রবীণ রাজনীতিক কমরেড নুরুল হক মেহেদীর মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তার অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয় যে, সাম্প্রদায়িকতা ও সাম্রাজ্যবাদের মানবতাবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে রাজনীতির মাধ্যদিয়ে বিদ্রোহের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন তিনি।