খোলা বাজার২৪, শনিবার , ১৭ অক্টোবর ২০১৫ জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ও সম্মেলন রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে শহর। শহরের প্রতিটি বড় সড়কে শোভা পাচ্ছে তোরণ। মোড়ে মোড়ে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। জেলার রাজনৈতিক অঙ্গণে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। সবার দৃষ্টি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদের দিকে। শহরময় জুড়ে আলোচনার বিষয় একটাই, কে হচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ পদ দু’টি নিয়ে কাউন্সিলর, ডেলিগেট ও নেতাকর্মীদের মাঝে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কেউ কেউ গাণিতিক সূত্রে মিলাচ্ছেন হিসাব-নিকাশ। এবারের সম্মেলনে জেলার আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররা খান ও সিদ্দিকী পরিবারের আবহমুক্ত হয়ে নেতা নির্বাচন করবেন। টাঙ্গাইল আউটার স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় সম্মেলন উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলমগীর খান মেনুর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা থাকবেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, আ.লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম এমপি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান খান ফারুক প্রমুখ। দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে বর্ষীয়ান রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক সাংসদ, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক পদে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, সা.দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখার ভিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের-এর নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। অন্য পদগুলোতে তেমন বড় ধরণের কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা। মহান স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম সিদ্দিকী ও খান পরিবারের আবহমুক্ত পরিবেশে নেতা নির্বাচন করার সুযোগ পেয়ে বেজায় খুশি কাউন্সিলররা। জেলার ১২টি উপজেলার প্রায় সাড়ে ৪শ’ কাউন্সিলর (১২ উপজেলায় ৪৩২জনের নাম তালিকায় আছে, রাতে বাড়তে পারে) ও ডেলিগেটসহ ২০ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম হবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সে লক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সম্মেলন সফল করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে ২০০৩ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছিল।