খোলা বাজার২৪, শনিবার , ১৭ অক্টোবর ২০১৫: নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলে রাখাইন প্রদেশে সফর করেছেন দেশটির বিরোধী দলীয় নেতা অং সান সু চি। তবে সেখানে তিনি রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কোনও প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেননি। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে দেশটির আটটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর অস্ত্রবিরতি চুক্তি সই হওয়ার একদিন পর রাখাইন প্রদেশ সফরে গেলেন সু চি। সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। প্রসঙ্গত, রাখাইন প্রদেশে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতন নিয়ে শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচির নিরবতা ও পরে দায়সারা বিবৃতির ফলে বিভিন্ন সময় সমালোচনাও করা হয়। রাখাইনে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার তিন বছর পর তিনি সেখানে গেলেন। সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এর নেতারা এর আগে জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারে সংখ্যাগরিষ্ট বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অনেক নেতাই সু চিকে রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকারের পক্ষের লোক বলে মনে করে। যদিও ২০১২ সালে বড় ধরনের দাঙ্গার সময়ও চুপ করে ছিলেন সু চি। উল্লেখ্য, আগামী ৮ নভেম্বর মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা। গত ২৫ বছরের মধ্যে এটিই হবে দেশটির প্রথম অবাধ ও গণতান্ত্রিক নির্বাচন। জানা গেছে, রাখাইন প্রদেশে সু চির সফরের সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন এক হাজারেরও বেশি নিরাপত্তাকর্মী। এর আগে ১৯৯০ সালে মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে সু চি’র নেতৃত্বাধীন দল এনএলডি ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে। তবে দেশটির সামরিক জান্তা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে উল্টো সু চিকে গৃহবন্দি করে। চলতি বছরের সাধারণ নির্বাচনেও এনএলডি বড় রকমের জয় পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ জন্য দুই-তৃতীয়াংশ আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হবে। দেশব্যাপী ৪৯৮টি আসনের ২৯টি আসনের নির্বাচন হবে রাখাইন রাজ্যে। যে কারণে এলাকাটি সব রাজনৈতিক দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়ে আসছে।