খোলা বাজার২৪, রবিবার , ১৮ অক্টোবর ২০১৫ : শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের ‘পিয়ার ইন্সপেকশন’ পদ্ধতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতরের সীমিত জনবল দিয়ে ৩৬ হাজার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অসম্ভব। অর্থ ও জনবল কম থাকায় এসব পরিদর্শনে চল্লিশ বছর লাগবে। তাই ডিজিটালাইজেশনের ধারাবাহিকতায় আমরা নতুন পদ্ধতি নিয়েছি। এজন্য শিক্ষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। ইউরোপে দায়িত্বপ্রাপ্তরা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে বলে তাদের পরিদর্শনের পদ্ধতি নেই। আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য প্রত্যেককে দায়িত্বশীল হতে হবে। রাজধানীর সিরডাপ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে রবিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ডিআইএ ওয়েবসাইট, ওয়াইফাই জোন ও মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন করা হয়। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিআর ইন্সপেকশন চালু হলো। এই নিয়মে শিক্ষাবর্ষের শেষে নির্ধারিত সময়ে সমজাতীয় দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা পারস্পরিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন, অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মূল্যায়ন করতে পারবেন। নতুন পদ্ধতির বিষয়ে তিনি বলেন, একটি স্কুলের সঙ্গে অন্য স্কুলের সমন্বয় থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন অনুসরণের পাশাপাশি কম সক্ষমতাপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি ও বিচ্যুতিসহ অর্জনগুলোর পারস্পরিক বিনিময়ের সুযোগ পাবে। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা তৈরির পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে বছরে গড়ে এক হাজার ৭০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন সম্ভব। এ হিসেবে ৩৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে ২০ বছর লেগে যাবে। কিন্তু শিক্ষার মানোন্নয়নে নিয়মিত পরিদর্শন দরকার। এ চিন্তা থেকেই নতুন ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর আগে সকালে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, পরিদর্শন ও নীরিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ভ্ইুয়া।