Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

BSSP 19-10-15খোলাবাজার প্রতিবেদক ঃ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বাংলাদেশের সাধারণ ও সংগ্রামী মানুষের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছেন যে দুইজন কবি তাদের মধ্যে কবি ফররুখ আহমদ একজন। তার কবিতা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু কুপমুন্ডুকতায় ভোগা শাসকেরা আবার তা পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দিয়েছে। তার কবিতা ছাড়া সংগ্রামী মানুষের জীবন পূর্ণ হতে পারে না।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের কবি, গণমানুষের কবি ফররুখ আহমদ। তার কবিতায় বাংলাভাষা ও বাংলাদেশের মানুষের জীবনচিত্র অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে। তার কবিতায় তিনি তুলে এনেছেন বাংলার শেকড় ও সংস্কৃতি।
আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে কবি ফররুখ আহমেদের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া উপরোক্ত কথা বলেন।

পরিষদ আহ্বায়ক ও ন্যাপ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মতিয়ারা চৌধুরী মিনুর সভাkabi farrukhপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব গোলাম সারওয়ার খান, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু, সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, পরিষদ সদস্য সচিব সোলায়মান সোহেল, চায়না ইসলাম, ডাঃ হাকিম রিয়াজউদ্দিন, আবদুল্লাহ আল মাসুম, আবদুল্লাহ কাউছারী প্রমুখ।
এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ফেলানী কাঁটাতারে ঝুলে থাকে। আমাদের বিজিবি সদস্যদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারের মতো দুর্বল দেশও শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। আমরা কোনো প্রতিবাদ করি না। আমরা ক্ষমতার জন্য লড়াই করি। কাজী নজরুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কবি ফররুখ আহমদকে স্বাধীনতাবিরোধী প্রমাণের চেষ্টা করছি। ফররুখ আহমদ যদি স্বাধীনতার পর নিজের আদর্শ বিসর্জন দিতেন তাহলে তার কোনো সমস্য হতো না। কিন্তু তিনি তা না করায় তাকে বিভিন্নভাবে অপমানিত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, অসহায়তা-অলসতা ও পশ্চাদপদতার অন্ধকার ঘূর্ণাবর্তে নিপতিত মানবতা রক্ষার্থে আমাদের সাহিত্য ভূবনের এক দুঃসাহসী ও মানবতাবাদি কবি হলেন ফররুখ আহমদ।
সভাপতির বক্তব্যে মতিয়ারা চৌধুরী মিনু বলেছেন, কবি ফররুখ ছিলেন গণজাগরণের কবি। তিনি মানুষের মধ্যে চেতনাবোধ তৈরি করে গেছেন। স্বাধীনতা, সাম্য ও মুক্তির চেতনা। আজকে কবিদের মধ্যে সেই জাগরণ নেই। দেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। কিন্তু কবি-সাহিত্যিকেরা নীরবতা পালন করছেন। ফররুখ বেঁচে থাকলে অবশ্যই জাগরণের কথা বলতেন।

খোলাবাজার/জিএমবি/এমবি