Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

21সোমবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : যে কোনো আসরেই শুধু দলগত প্রতিযোগিতা নয়; খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য প্রদর্শনেরও লড়াই চলে। ওয়ালটন ১৭তম জাতীয় ক্রিকেট লিগও (এনসিএল) এর ব্যতিক্রম নয়। দলগত প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ক্রিকেটাররা এখানে ব্যক্তিগত ঝলক দেখাতে মুখিয়ে থাকেন। কারণ, ভবিষ্যতে জাতীয় দলের দরজা উন্মুক্ত করতে তা ভূমিকা রাখে। সোমবার ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সেই লড়াইয়ে নিজ নিজ অবস্থান আরেকটু পোক্ত করেছেন ৫ ব্যাটসম্যান। এদের প্রত্যেকেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। এনসিএলে এদিন সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানরা হলেন-বরিশাল বিভাগের দুই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান সালমান হোসেন ও আল-আমিন, চট্টগ্রাম বিভাগের তাসামুল হক, খুলনার বিভাগের এনামুল হক বিজয় ও নুরুল হাসান। এদের মধ্যে অবশ্য এনামুলক হক বিজয় বাংলাদেশ জাতীয় দলেরই খেলোয়াড়। বাকিরা জাতীয় দলে প্রবেশে পথ খুঁজছেন। এনসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের খেলা চলছে বর্তমানে। সোমবার এই রাউন্ডের খেলার তৃতীয় দিন। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বরিশাল বিভাগ ও সিলেট বিভাগ। টস হেরে আগে ব্যাটিং করা বরিশালের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গিয়েছেল ১৫৫ রানে। জবাবে সিলেটের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৭২ রানে। রবিবার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান। সালমান ৭২ এবং আল-আমিন ২ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। সোমবার দুজনই হতাশ করেছেন সিলেটের বোলারদের। আউট হওয়ার আগে সালমান করেছেন ১৪৬ রান। আর আল-আমিনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫৭ রান। বলার অপেক্ষা রাখে না, জোড়া সেঞ্চুরিতে এই ইনিংসে বরিশালের সংগ্রহ ফুলে ফেঁপেই উঠেছে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে রাজশাহী বিভাগ ও স্বাগতিক চট্টগ্রাম বিভাগ। রাজশাহীর ২০৮ রানের (প্রথম ইনিংসে) জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৮ রান। তাসামুল অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রান নিয়ে। তৃতীয় দিন ৩৫০ রানে গুটিয়ে গিয়েছে চট্টগ্রামের প্রথম ইনিংস। তবে তাসামুল অপরাজিত থেকেছেন ব্যক্তিগত ১৩৪ রানে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগ। প্রথম ইনিংসে দুই দলই স্বল্প রানে অলআউট হয়েছে; খুলনা ১১৭ এবং ঢাকা ১৫৪ রান। রবিবার মেহেদী হাসানের সেঞ্চুরিতে দিনশেষে খুলনার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান। এনামুল ৬১ এবং নুরুল হাসান ৩৪ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিনের খেলায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর পরই মোশাররাফ হোসেনের বলে বোল্ড আউট হয়েছেন এনামুল। তবে খুলনার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ১৭৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর খুলনার সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৯৮ রান।