খোলা বাজার২৪, সোমবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : একই সঙ্গে একজন মুমূর্ষু রোগীর বাইপাস ও মস্তিস্কের প্রধান রক্তনালী ‘কমন ক্যারোটিড ধমনীর’ ভেতর থেকে চর্বি অপসারণ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান ও স্পেশাল ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডা. অসিত বরণ অধিকারী। বাংলাদেশে এধরণের অপারেশন এটি ৭ম এবং সবগুলোই অধ্যাপক ডা. অসিত বরণ অধিকারীর করা।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের রুস্তম আলি মল্লিক (৪৮) অনেক দিন ধরেই মস্তিস্ক ও হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বেশ কয়েকবার মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়েও পড়েছেন তিনি। এমনকি তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করে ৩ দিন অজ্ঞান অবস্থায় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের সাহায্যে বেঁচে ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি ক্যারোটিড এনজিওগ্রাম করতে গেলে সেখানেই তার কার্ডিয়াক অ্যারেষ্ট হয় এবং তাকে সিপিআর দিয়ে ফেরানো হয়। ফলে তার ক্যারোটিড এনজিওগ্রাম করা সম্ভব হয় না। এরপর তিনি একে একে বাংলাদেশের সব কটি সরকারি, বেসরকারি এবং আধা সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘুরেছেন, কিন্তু বাংলাদেশের কোন সার্জনই বাইপাস এবং ক্যারোটিড ধমনীর চর্বি অপসারন এই দুই অপারেশন একইসঙ্গে করতে সম্মত হন নি। কারণ বাংলাদেশে এই দুই অপারেশন একইসঙ্গে করার অভিজ্ঞতা অন্য কোন সার্জন বা তার টিমের আছে বলে জানা নেই। তাছাড়া এই ধরনের অপারেশনে মৃত্যুর ঝুঁকিও অত্যন্ত বেশি। অবশেষে তিনি আসেন অধ্যাপক অসিত বরণ অধিকারীর কাছে এবং তিনি অপারেশন করতে রাজি হন। তিনি এর আগে এধরনের ৬ টি অপারেশন করেছেন এবং সব রোগীই এখন পর্যন্ত ভাল আছেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক অসিত বরণ অধিকারী বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বাপেক্ষা প্রথিতযশা ও সম্মানিত কার্ডিয়াক সার্জন। বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফল বাইপাস অপারেশন তারই হাতে করা ১৯৯৪ সালে। পরে ২০০১ সালে তিনি হার্ট বন্ধ না করেই বাইপাস অপারেশন, ২০০৪ সালে শুধুমাত্র ধমনী ব্যবহার করে বাইপাস, ২০০৫ সালে হার্টের রক্তনালীর চর্বি কেটে অপসারণ করে বাইপাস এবং ২০০৯ সালে প্রথম বন্ধ হয়ে যাওয়া রিং অপসারণ করে বাইপাস অপারেশন চালু করেন। সেই থেকে তিনি এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক হাজার সফল বাইপাস অপারেশন করেছেন। এছাড়াও তিনি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২২ টি নতুন কার্ডিয়াক সার্জারীর পদ্ধতি চালু করেছেন।
বিএসএমএমইউ সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের রুস্তম আলি মল্লিক (৪৮) অনেক দিন ধরেই মস্তিস্ক ও হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বেশ কয়েকবার মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়েও পড়েছেন তিনি। এমনকি তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করে ৩ দিন অজ্ঞান অবস্থায় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের সাহায্যে বেঁচে ছিলেন। পরবর্তিতে তিনি ক্যারোটিড এনজিওগ্রাম করতে গেলে সেখানেই তার কার্ডিয়াক অ্যারেষ্ট হয় এবং তাকে সিপিআর দিয়ে ফেরানো হয়। ফলে তার ক্যারোটিড এনজিওগ্রাম করা সম্ভব হয় না। এরপর তিনি একে একে বাংলাদেশের সব কটি সরকারি, বেসরকারি এবং আধা সরকারি হাসপাতালগুলোতে ঘুরেছেন, কিন্তু বাংলাদেশের কোন সার্জনই বাইপাস এবং ক্যারোটিড ধমনীর চর্বি অপসারন এই দুই অপারেশন একইসঙ্গে করতে সম্মত হন নি। কারণ বাংলাদেশে এই দুই অপারেশন একইসঙ্গে করার অভিজ্ঞতা অন্য কোন সার্জন বা তার টিমের আছে বলে জানা নেই। তাছাড়া এই ধরনের অপারেশনে মৃত্যুর ঝুঁকিও অত্যন্ত বেশি। অবশেষে তিনি আসেন অধ্যাপক অসিত বরণ অধিকারীর কাছে এবং তিনি অপারেশন করতে রাজি হন। তিনি এর আগে এধরনের ৬ টি অপারেশন করেছেন এবং সব রোগীই এখন পর্যন্ত ভাল আছেন।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক অসিত বরণ অধিকারী বাংলাদেশে বর্তমানে সর্বাপেক্ষা প্রথিতযশা ও সম্মানিত কার্ডিয়াক সার্জন। বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফল বাইপাস অপারেশন তারই হাতে করা ১৯৯৪ সালে। পরে ২০০১ সালে তিনি হার্ট বন্ধ না করেই বাইপাস অপারেশন, ২০০৪ সালে শুধুমাত্র ধমনী ব্যবহার করে বাইপাস, ২০০৫ সালে হার্টের রক্তনালীর চর্বি কেটে অপসারণ করে বাইপাস এবং ২০০৯ সালে প্রথম বন্ধ হয়ে যাওয়া রিং অপসারণ করে বাইপাস অপারেশন চালু করেন। সেই থেকে তিনি এখন পর্যন্ত বেশ কয়েক হাজার সফল বাইপাস অপারেশন করেছেন। এছাড়াও তিনি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ২২ টি নতুন কার্ডিয়াক সার্জারীর পদ্ধতি চালু করেছেন।