খোলা বাজার২৪, সোমবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : আগের দুই রাউন্ডে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। বার বার ৩০ আর ৪০-এর ঘরে গিয়ে আউট হচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। অবশেষে তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস খেলেছেন বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ব্যাটসম্যান। এবারের ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের চতুর্থ রাউন্ডে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন খুলনা বিভাগের হয়ে খেলা এনামুল। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ভারত সফর থেকেই অবশ্য ব্যাটে রান পাচ্ছিলেন না এনামুল। ভারতীয় ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে মিলে মাত্র ৩৫ রান এসেছিল এই ডানহাতির ব্যাট থেকে। একটিতে আবার ‘ডাক’ মেরেছিলেন। এরপর ভারতের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন কর্ণাটকের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচে এক ইনিংসে ৮৯ রান করলেও আরেক ইনিংসে মাত্র ১ রান করেন এনামুল। আর ভারতীয় ‘এ’ দলের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচের দুই ইনিংসেই মারেন ‘ডাক’। ভারত সফরের কারণে এবারের জাতীয় ক্রিকেট লিগের প্রথম রাউন্ডে খেলতে পারেননি এনামুল। দ্বিতীয় রাউন্ডে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে এক ইনিংস খেলে করেন ৩৪ রান। এরপর তৃতীয় রাউন্ডে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেন যথাক্রমে ৪১ ও ৩১ রান। অবশেষে চতুর্থ রাউন্ডে এসে ইনিংসকে বড় করতে পারলেন এনামুল। ফতুল্লায় অনুষ্ঠিত ঢাকার বিপক্ষে এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১১ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন খুলনার এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় দিনে ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন এনামুল। দিন শেষে অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে। সোমবার তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই আগের দিনের ফিফটিকে সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করেন এনামুল। ইনিংসের ৮৭তম ওভারে মোহাম্মদ শরীফের বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন এনামুল। ২৬৬ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দশম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ২২ বছর বয়সি এই ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরির পর ইনিংসকে আর বড় করতে পারেননি এনামুল। মোশাররফ হোসেনের বলে বোল্ড হওয়া এনামুল ৩০৯ মিনিট ক্রিজে থেকে ২৬৭ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ঠিক ১০০ রান করেন। এদিন সেঞ্চুরি করেছেন খুলনার আরেক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসানও। পঞ্চম উইকেটে এনামুল-নুরুল মিলে ১৫৩ রানের বড় জুটি গড়েন। আগের দিনে সেঞ্চুরি করা মেহেদী হাসানের সঙ্গেও ১৪৮ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়েন এনামুল।