Fri. May 2nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, সোমবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের 47অভিযোগ তদন্তে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট ‘গণতদন্ত কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। কমিটি ২০ নভেম্বর তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির টিচার্স লাউঞ্জে সোমবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। আনু মুহাম্মদকে আহ্বায়ক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- চিকিৎসক ডা. ফজলুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আহমেদ কামাল, গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা ও সামিনা লুৎফা, তানজিম উদ্দিন খান, শিক্ষাবীদ এ এন রাশেদা, আইটি বিশেষজ্ঞ ফিদা হক, প্রকৌশলী ম. এনামুল হক, সাংবাদিক ও লেখক আবুল মকসুদ, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, গায়ক শিল্পী মাহমুদুজ্জামান বাবু ও ডা. শাকিল আকতার প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘২৩ অক্টোবরের মধ্যে এ কমিটি বিস্তারিত কার্যক্রম পরিচালনার দিক নির্ধারণ করবে। ৩০ অক্টোবর টিএসসিতে গণশুনানির আয়োজন করবে। ওই শুনানিতে সকলেই অংশগ্রহণ এবং নিজ নিজ বক্তব্য দিতে পারবেন। সরকার চাইলে তাদের প্রতিনিধিও পাঠাতে পারবে। ২০ নভেম্বর কমিটি জনসম্মুখে রিপোর্ট পেশ করবে, যেহেতু কমিটি জনস্বার্থে গঠিত হয়েছে।’ কমিটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গণতদন্ত কমিটি কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর মধ্যে রয়েছে- প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যে অভিযোগ তুলেছে এর সত্যতা নিরূপণ করা। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নেওয়া হবে। এ পর্যন্ত প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় যেসব প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন প্রণয়ন ও ভর্তি ব্যবস্থাপনা যেভাবে হয়েছে এর মধ্যে শক্ত ও দুর্বল দিকগুলো কি সেটা আমরা পর্যালোচনা করব এবং এর মধ্যে কি কি ঘটনা ঘটেছে সেগুলোও পর্যালোচনা করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ও যাদের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে, ওইসব সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য; প্রশ্নফাঁস হয়নি— সংশ্লিষ্টদের এমন বক্তব্যের যুক্তিগুলোও গ্রহণ করা হবে।’ আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘সরকার যখন কোনো কাজে ব্যর্থ হয় সাংবিধানিকভাবে জণগণের সার্বভৌম এখতিয়ার আছে সেটি সম্পূর্ণ করা। সে দায়িত্ববোধ থেকে আমরা এ কমিটি গঠন করেছি। এর মধ্যে সরকার উদ্যোগ নিলে তাদের ধন্যবাদ জানাব।