খোলা বাজার২৪, সোমবার , ১৯ অক্টোবর ২০১৫ : জার্মানির শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নারীরা নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। মাত্র ১০ ইউরোর বিনিময়ে তাদের যৌনতায় বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন। ডেইলি মেইল। পশ্চিম ইউরোপে শরণার্থীদের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন সংকট। অভিবাসন প্রত্যাশীদের রুট নিয়ন্ত্রণে ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়ার সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে উত্তেজিত গোটা ইউরোপ। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের কর্তাব্যক্তিরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। ক্রোয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ স্লোভানিয়াকে দৈনিক পাঁচ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করতে বললেও তারা এর অর্ধেক সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে পারবে বলে জানিয়েছে। স্লোভানিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার এই টানাপোড়েনে সার্বিয়া সীমান্তে অভিবাসীদের চাপ বেড়ে যাচ্ছে। স্লোভেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তাদের উত্তর দিকের প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রিয়া দৈনিক দেড় হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রহণ করছে না। এদিকে রবিবার রাতে তীব্র শীত ও বৃষ্টিপাতের মধ্যে সার্বিয়া সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপন করেন হাজার হাজার মানুষ। একটি মানবাধিকার সংগঠনের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির বাডেন-উইয়েরটেমবার্গ প্রদেশের শরণার্থী ক্যাম্পে অন্তত ছয়টি ধর্ষণের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে যৌনপেশায় জড়িত হওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। মানবাধিকারকর্মী গেজেল হেগ বলেন, ‘অসহায় মানুষগুলোর ওপর এসব হচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। কিন্তু কেউ কিছু করছে না। যেন দেখারই নেই কেউ!’ এদিকে কিটজিনজেন শহরের একটি শরণার্থী কেন্দ্রে এক নারী পরিচ্ছন্নকর্মী ১০ দিন নিয়মিত যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন। পরিচ্ছন্নকর্মী জানান ওই ক্যাম্পে তাঁকে ১০ দিন ধরে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে ১ অক্টোবর থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, এখন সেখানে শুধু পুরুষ পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ওই নারী কর্মীর ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে দুই অভিবাসী। প্রসঙ্গত, যুদ্ধবিদ্ধস্ত সিরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে জীবন বাচাতে ও উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে অভিবাসন প্রত্যাশী শরণার্থীর সংখ্যা যে কোন সময়ের চাইতে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব শরণার্থীর প্রথম পছন্দ জার্মানি।