খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫ : ইন্ডিয়ান সুপার লিগ চলায় মূল দলের ১৪ ফুটবলারই নেই; তবু ভারতের ইস্ট বেঙ্গলের কোচ ছোট স্বপ্ন দেখতে রাজি নন। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাংলাদেশে বেড়াতে নয়, শিরোপা জিততেই এসেছে তার দল। চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টুর্নামেন্টের আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ শুরু করবে ইস্ট বেঙ্গল। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে গড়াবে ম্যাচটি। স্থানীয় একটি হোটেলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টচার্য্য নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য টেনে দাবি করলেন, দুর্বল দল নিয়ে আসেননি তিনি; শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা দেখতেও পিছপা হচ্ছেন না। ইস্ট বেঙ্গলের ১৭ জনের দলে আছে চার বিদেশী খেলোয়াড়। এদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার অনূর্ধ্ব-২০ দলের অধিনায়কত্ব করে আসা ডে ডং-হিউনকে নিয়ে উচ্ছ্বাসের কথা আলাদা করেই জানালেন বিশ্বজিৎ। এছাড়া রন্টি মার্টিন্স, বেল্লো রাসাক, সুভজিৎ-সুবোধদের প্রতিও আস্থার কমতি নেই কোচের। “যে ১৪ জন আই লিগে গেছে, তারা যে মূল দলে সব সময় খেলত, তা নয়। আমরা দলটা এমনভাবে গড়েছি, কেউ চলে গেলেও সমস্যা হবে না। যারা এখন আছে, তাদেরও যথেষ্ট যোগ্যতা আছে। তরুণ বলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে বটে; কিন্তু ছেলেদের খেলা আপনাদের ভালো লাগবে।” এই আসরের সাত প্রতিপক্ষ সম্পর্কে খুব একটা জানাশোনা না থাকার কথা স্বীকার করলেন বিশ্বজিৎ। প্রতিপক্ষ নিয়ে তার দর্শন, “যখন আমরা খেলতে নামি; মনে করি, প্রতিপক্ষ আমাদের চেয়ে ভালো।” ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ইস্ট বেঙ্গল ভারতের ঘরোয়া লিগের অন্যতম সফল দল। কলকাতা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ৩৭ বার ঘরে তুলেছে দলটি। আইএফএ শিল্ডের ট্রফি আছে ২৮টি। ভারতের সর্বোচ্চ লিগ আই লিগের শিরোপা তিনটি। সর্বশেষ ট্রফিটি অবশ্য ২০০৩/০৪ মৌসুমে জিতেছে তারা। আই লিগে ইস্ট বেঙ্গলের সাম্প্রতিক সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। ২০০৩/০৪ মৌসুমে সর্বশেষ এই শিরোপা জেতা দলটি গত মৌসুমে চতুর্থ হয়েছে। তাছাড়া সর্বশেষ ফেডারেশন কাপ (২০১২) ও সুপার কাপ (২০১১) জয়ও অনেক দিন হয়ে গেল। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপটা তাই শিরোপা খরা কাটানোর দারুণ এক উপলক্ষ হয়ে এসেছে বলে মানছেন বিশ্বজিৎ, “আমরা যেখানেই যাই, সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণের চেষ্টা করি। শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এসেছি আমরা।” বাংলাদেশের তারকা ফুটবলার মোনেম মুন্না, কায়সার হামিদ এক সময় আলো ছড়িয়েছেন ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে। সেই সব দিনের স্মৃতিচারণও করলেন বিশ্বজিৎ। “৮৭-তে আমার পা ভাঙল। সে সময় আমার জায়গায় মুন্নাকে নিয়ে যাওয়া হলো। ওর খেলা দেখেছি; খুব ভালো খেলত। কায়সারও খেলেছে; আমরা আজও ওদের শ্রদ্ধাভরে মনে করি।” “বাংলাদেশ আমার দেশ। ফরিদপুরে আমার বাড়ি ছিল। যখনই এখানে এসেছি, আগের মতোই আতিথেয়তা পেয়েছি”, যোগ করেন তিনি। এই আসরের আয়োজক আর ফেডারেশনের ডাকে সাড়া দেয়নি ঘরোয়া লিগের চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। দলটি না থাকায় বেশ হতাশ বিশ্বজিৎ। তার হতাশার কারণ আইএফএ শিল্ডের সর্বশেষ আসরে শেখ জামালের কাছে হারার প্রতিশোধের সুযোগটা নিতে না পারা! “সত্যি বলতে আমরা শেখ জামালের জন্য মুখিয়ে ছিলাম।