খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫ : জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুদকের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুস সোবহান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদকের
একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। জিজ্ঞাসাবাদকৃত আসামীরা হলেন- ফরিদপুর জেলা সদরের থাওয়াসপুরের হাসিবুল হাসান, একই এলাকার মাহবুবুর রহমান কাজল, মিরপুর-১২ পল্লবীর বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম, পশ্চিম আগারগাঁওয়ের সাব্বির রহমান, গেণ্ডারিয়ার শাহাবুর রহমান বাবলু ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার সেলিম আহমেদ। চলতি বছরের ৮ মার্চ ব্র্যাক ব্যাংকের সিনিয়র ব্যবস্থাপক তারেক নেওয়াজ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এরপরই গুলশান থানা থেকে মামলাটি দুদকে পাঠানো হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ইসলামের নয়টি এফডিআর রয়েছে। যার প্রতিটিতে ১০ কোটি টাকা করে সর্বমোট ৯০ কোটি টাকা। মামলার প্রধান আসামী হাসিবুল হাসান নিজেকে ব্যবসায়ী ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ইসলামের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তার ফিক্স ডিপোজিট ভাঙতে আসে। এ সময় আম-মোক্তার নামার মাধ্যমে তাকে বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে বলে জানায়। ব্র্যাক ব্যাংকের ওই শাখায় যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ইসলামের এফডিআর সম্পর্কে তথ্য, তার স্বাক্ষর জাল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির কাজটি প্রায় নিখুঁতভাবে করে ১১ জনের ওই প্রতারকচক্র। তবে শেষ পর্যন্ত ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর এফডিআর ভেঙে নিতে গিয়ে ১১ প্রতারককে আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় বাকি পাঁচ আসামী হলেন, ঢাকা গেন্ডারিয়ার নজরুল হক, ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাসিন্দা খোরশেদ আলম, একই এলাকার দেলোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলার কাতলিয়া গ্রামের শাহজাহান ও বরিশাল জেলা সদরের কাজীপাড়ার কাজী শাহাদৎ হোসেন।