খোলা বাজার২৪ ॥ মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর ২০১৫ : সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলার ১১ সাক্ষীর জবানবন্দি আবার শুনবে আদালত। মঙ্গলবার সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা এ আদেশ দেন। বুধবার থেকে নতুন করে এই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এই আদালতের পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। বিচারক আগামী ২৫ অক্টোবর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ঠিক করে দিয়েছেন বলে তিনি। এদিন কামরুলসহ মামলার ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পিপি মিসবাহ জানান, কামরুলের উপস্থিতিতে তার আইনজীবী আলী হায়দার ফারুক ১৫ জনের সাক্ষ্য নতুন করে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত ১১ জনের ব্যাপারে অনুমতি দেন। “এর মধ্যে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার সাময়িক বরখাস্ত ওসি আলমগীর হোসেন, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার, রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মা লুবনা আক্তারও রয়েছেন।” এর আগে রোববার একই আবেদন খারিজ করেছিল আদালত। গত ১ অক্টোবর মামলায় সাক্ষগ্রহণ শুরুর পর এপর্যন্ত ৩৮ জনের মধ্যে ৩৬ সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর বিদেশে পালিয়ে যান কামরুল। গত বৃহস্পতিবার বিকালে তাকে দেশে ফেরত আনার পর শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার দেড় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে গত ১৬ অগাস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুরঞ্জিত তালুকদার। ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে আলোচিত এই হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। কামরুলকে নিয়ে এই মামলার আসামিদের মধ্যে মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার আরও দুই ভাই মুহিত আলম ও আলী হায়দার কারাগারে রয়েছেন । পলাতকদের মধ্যে কামরুলের আরেক ভাই সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা শামীম আহমদের সঙ্গে পাভেল আহমদ নামে আরেকজন রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে।