Thu. Jul 24th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

2খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫ : টাঙ্গাইলে কথিত ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে; র‌্যাবের দাবি, নিহতরা ‘চরমপন্থি’ দলের সদস্য।
টাঙ্গাইল র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বলছেন, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৩টার দিকে সদর উপজেলার গুগড়া ইউনিয়নের মইশা গ্রামে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আকবর হোসেন (৪৫) ও মইশা গ্রামের মনু মিয়া (৩৫)।
আরও তিন ‘চরমপন্থিকে’ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে মহিউদ্দিন ফারুকী জানান।
তারা হলেন- কাকুয়া বেলদা গ্রামের আব্দুল নূরের ছেলে চান মিয়া (৩৫), মইষা গ্রামের আরমান মিয়ার ছেলে রায়হান (৪০) ও গুপ্ত গাগুলজান গ্রামের আয়নালের ছেলে ফরিদ (৩৪)।
হতাহত এই পাঁচজনকে চরমপন্থি দলের সদস্য বললেও তারা কোন সংগঠনে জড়িত তা বলেননি এই র‌্যাব্ কর্মকর্তা।
বন্দুকযুদ্ধে মনিরুল ইসলাম মনির নামে এক র‌্যাব সদস্যও আহত হয়েছেন। তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
র‌্যাব কর্মকর্তা ফারুকী বলেন, চরমপন্থিদের অবস্থানের খবর পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা রাতে মইশা গ্রামে অভিযানে যায়।
অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে ১০/১২ জন চরমপন্থি জোর করে ওই এলাকার শাহাদত হোসেনের বাড়িতে ঢুকে অবস্থান নেয়। র‌্যাব ওই বাড়িতে গেলে তারা গুলি শুরু করে। র‌্যাবও জবাব দিলে শুরু হয় গোলাগুলি।” এ সময় র‌্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম গলায় গুলিবিদ্ধ হন। র‌্যাব সদস্যরা তাদের অবস্থান নেওয়া টিনের ঘরের কাছে গেলে পুরো ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট তৈরি করে রাখে চরমপন্থিরা। পরে আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই মনু মিয়া (৩৮) ও মইষা নন্দনাল গ্রামের হাসু মিয়ার ছেলে আকবার হোসেন মেম্বার (৩৫) নিহত হয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি ৬ পয়েন্ট ৭৫ বোরের পিস্তল, একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটার, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন ও বেশ কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়। আহত তিন পরমপন্থি সদস্যকে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধে আহত র‌্যার সদস্যকে প্রথমে টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

অন্যরকম