Mon. May 5th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫ : প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় 30আরো তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এ নিয়ে এই মামলায় চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি কিশোর কুমার কর জানান, আজ (বুধবার) আদালতে হবিগঞ্জের আবদুল কাইয়ুম, ঈমান আলী ও আবদুল মতিন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তিনি জানান, আদালত আগামী ২৮ ও ২৯ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছেন। কিশোর কুমার কর আরো জানান, বুধবার আদালতে কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারান্তরীণ ১৩ আসামি ও জামিনে থাকা আট আসামির সবাই উপস্থিত ছিলেন। তবে অসুস্থ থাকায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে হাজির হননি। এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন বাদিপক্ষ আদালতে সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিচারক ৩০ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন। ওইদিন আদালতে সাক্ষ্য দেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান। প্রসঙ্গত, টানা নয় দফা পেছানোর পর গত ১৩ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলার সব আসামি সিলেট দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হওয়ায় বিচারক মকবুল আহসান চার্জ গঠন করেন। মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিক’র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ। অ্যাডভোকেট কিশোর কর জানান, কিবরিয়া হত্যা মামলার ৩২ আসামির মধ্যে আটজন জামিনে, ১৪ জন কারাগারে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। গত ২১ জুন, ৬, ১৪ ও ২৩ জুলাই এবং ৩, ১০, ১৮, ২৫ আগস্ট ও ৬ সেপ্টেম্বর আলোচিত এই মামলার চার্জ গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু সব আসামি আদালতে হাজির করতে না পারায় চার্জ গঠনের তারিখ পিছিয়ে যায়। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।