Thu. Jun 19th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫ : ফিফা নিয়ে বেশ ঝামেলার মধ্যেই হয়তো আছেন, কিন্তু 35মিশেল প্লাতিনি জেনে বেশ খুশিই হবেন তাঁর উদ্ভাবিত পদ্ধতিটা বেশ কাজে লেগে গেছে কাল। গোল লাইনে দুজন বাড়তি রেফারি রাখার নিয়মটা তো চালু করেছেন তিনিই। বেশিরভাগ সময়ই গোল লাইনের পাশে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকার অভিযোগ ওঠে যাঁদের বিরুদ্ধে, সেই আপাত-অকর্মন্য সহকারী রেফারির নিখুঁত সিদ্ধান্তেই কাল এল আর্সেনালের দ্বিতীয় গোলটা। খেলার ৯০ মিনিট। হেক্টর বেলেরিনের ক্রসটায় পা ছুঁইয়েছেন মেসুত ওজিল। বায়ার্ন মিউনিখের গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যার তা ফিরিয়েও দিয়েছিলেন। ফিরতি বলে অক্সলেড চেম্বারলেইনের শটটা চলে গেছে বারের অনেক ওপর দিয়ে। অথচ রেফারি বাঁশি বাজিয়ে দিলেনৃগোল! নয়্যার ফিরিয়ে দেওয়ার আগেই যে বলটা পার করে গেছে গোলের রেখা! এই ‘অদ্ভুতুড়ে’ গোলের সঙ্গে অলিভিয়ের জিরুর গোল মিলিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার রাতের খেলায় বায়ার্ন মিউনিখকে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়েছে আর্সেনাল। অথচ এই ম্যাচের আগেই কত কথা! বায়ার্ন মিউনিখের কাছে কয় গোলে হারবে আর্সেনাল? আগের দুই ম্যাচে হেরেছে, এই ম্যাচে তো জেতার প্রশ্নই আসে নাৃআরও কত কী! সব পূর্বানুমান বুড়ো আঙুলই দেখিয়ে দিল গানাররা। এমনি এমনিই তো আর বলে না, লন্ডনের বৃষ্টি আর আর্সেনালের ফর্ম-এই দুটো নিয়ে পূর্বানুমান করা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বায়ার্ন নিজেদের মতো করে বলের দখল ধরে রেখে খেলেছে ঠিকই, তবে কেন যেন তাদের খেলায় খুনে ভাবটা ছিল না। আর্সেনাল গোলরক্ষক পিওতর চেককে বেশ কয়েকটি সেভ করতে বাধ্য করেছেন লেভানডফস্কি-থিয়াগো-মুলাররা; তবে খেলার বেশির ভাগ সময়ই বাভারিয়ানদের খুব একটা ভয়ংকর মনে হয়নি। উল্টো ওয়ালকট-সানচেজের গতি ব্যবহার করে প্রতি-আক্রমণে বেশ ক্ষুরধার ছিল আর্সেনালই। ওয়ালকট তো গোল প্রায় করেই ফেলেছিলেন প্রথমার্ধে—৬ গজ দূর থেকে তাঁর হেড ‘অতিমানবীয়’ দক্ষতায় নয়্যার ফিরিয়ে দেওয়ায় তা আর হয়নি। মৌসুমের সেরা সেভগুলোর তালিকায় নিশ্চিতভাবেই থাকছে এটি।চেলসি-কিয়েভ ম্যাচের একটি দৃশ্য। ছবি: এএফপি। তবে প্রথমার্ধের ‘হিরো’ নয়্যার ‘জিরো’তে পরিণত হলেন দ্বিতীয়ার্ধের ৭৭ মিনিটেই। সান্তি কাজোরলার নিরীহ-দর্শন ফ্রি-কিকটি পাঞ্চ করতে বেরিয়ে এসেছিলেন গোল লাইন ছেড়ে—এভাবে বের হওয়ার হয়তো কোনো দরকারই ছিল না। উল্টো সর্বনাশই হলো। ভিড়ের মধ্যে বলটা মিস করলেন এই জার্মান গোলরক্ষক। সুযোগ সন্ধানী জিরুর মাথায় লেগে তাতে প্রথম গোলটি পেয়ে যায় আর্সেনাল। খেলার একেবারে শেষ মিনিটে সহকারী রেফারির সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় গোলটি বায়ার্নকে স্তব্ধ করে দিলেও এমিরেটস স্টেডিয়ামকে আনন্দেই ভাসিয়েছিল। এই জয়ে ইউরোপ-সেরার লড়াইয়ে নিজেদের সম্ভাবনা টিকিয়ে রাখল আর্সেন ওয়েঙ্গারের দল। এদিকে, আর্সেনালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী চেলসি কাল ডায়নামো কিয়েভের মাঠে গোলশূন্য ড্র করেছে। তবে খেলার ফলকে ছাপিয়ে গেছে পেনাল্টি-বিতর্ক। সেস্ক ফ্যাব্রেগাসকে বক্সের ভেতরে ফেলে দিয়েছিলেন কিয়েভ ডিফেন্ডার সের্হি রাইবাল্কা, তবে রেফারি পেনাল্টি দেননি তাতে। ম্যাচ শেষে এ নিয়ে বিতর্কে রেফারিকে ‘দুর্বল’ ও ‘কাঁচা’ বলেছেন মরিনহো। কিছুদিন আগেই রেফারিদের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য করে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছ থেকে ৫০ হাজার পাউন্ড জরিমানা গুনেছেন। এবার কী গুনতে হয় কে জানে? সূত্র: এএফপি।