Sat. May 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বুধবার, ২১ অক্টোবর ২০১৫ : সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার 51প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের উপস্থিতিতে আবার ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়েছে। আজ সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে দুপুর ১২টা থেকে সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফুর আলী প্রথম আলোকে এ কথা জানান। গতকাল মঙ্গলবার ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী আসামিদের নাম ও ঠিকানা পরীক্ষার ধার্য তারিখে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা মামলার ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য আবার নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের বিষয়টি মঞ্জুর করেন। এই ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া দুই বিচারিক হাকিম, বরখাস্ত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যসহ রাজনের বাবা, মা ও এক চাচা রয়েছেন। আদালত সূত্র জানায়, গত ৮ জুলাই রাজন হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ১৫ অক্টোবর তাঁকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে পরদিন আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। মহানগর দায়রা জজ আদালতে সর্বশেষ পর্যায়ে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন গত রোববার কামরুলকে অন্য আসামিদের সঙ্গে প্রথম আদালতে তোলা হয়। ওই দিনই কামরুলের আইনজীবী সব সাক্ষীকে রি-কল করার আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। গত ৮ জুলাই রাজনকে চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সিলেটের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সিলেটের জালালাবাদ থানার বাদেয়ালি গ্রামের বাসিন্দা শিশু রাজন সবজি বিক্রি করত। তার লাশ গুম করার সময় ধরা পড়েন একজন। এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা বলে অভিযোগ ওঠা কামরুল ইসলাম পালিয়ে সৌদি আরব চলে যান। পরে ইন্টারপোলের সহায়তায় তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।