খোলা বাজার২৪ ॥বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৫: ভোলা জেলার লালমোহনে হত্যার হুমকি দিয়ে র্দীঘদিন ধরে পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মুচীরপোল এলাকার মাদু মাঝির বাড়িতে এঘটনা ঘটে। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর থেকে ওই শ্বশুর গা ঢাকা দিয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর আগে ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মাদু মাঝির ছেলে সোহাগের সাথে একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের আরজু মাস্টার বাড়ির নুরু মিস্ত্রীর মেয়ের (১৯) সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মাদু মাঝির পুত্রবধূর দিকে তার কুনজর পড়ে। ওই গৃহবধূ অভিযোগ করে জানান, ‘আমার স্বামী সোহাগ নদীতে জেলের কাজ করে। তার কারণে অধিকাংশ সময় রাতে সেই বাড়িতে আসে না। এই সুযোগে আমার শ্বশুর আমাকে বিভিন্ন সময়ে নানা ভাবে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো। আমি লোক-লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতাম না। প্রায় ১ বছর আগে আমার স্বামী নদীতে মাছ শিকার করতে গেলে আমার শ্বশুর মাদু মাঝি আমাকে ভয় দেখিয়ে রাতে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি আমি কাউকে বললে সে আমার সংসার ভেঙে দিবে এবং আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়। তারপর থেকে একইভাবে আমার শ্বশুর আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে আসছিল। তার হত্যার ভয়ে আমি বিষয়টি কাউকে জানায় নি।’ তিনি আরও জানান, ‘তার এই যৌন নির্যাতনে আমি অতিষ্ঠ হয়ে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে আমাকে আবার জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমি চিৎকার দিলে সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পরে ঘরে থাকা ভাসুরের স্ত্রী সাহানুর ও আশপাশের লোকজন আলো নিয়ে চলে আসে।’ পুত্রবধূর ভাসুরের স্ত্রী সাহানুর জানান, ‘রাতে তার চিৎকার শুনে আমি তার কাছে আলো নিয়ে যাই। তারপর তার কাছ থেকে আমি বিষয়টি জানতে পারি।’ মাদু মাঝির স্ত্রী মমতাজ জানান, ‘আমি ঘটনার দিন রাতে বাড়িতে ছিলাম না। সকালে বাড়িতে এসে ছেলে ও বউয়ের কাছে এটাই শুনেছি। আসলে আমার স্বামী যদি সত্যিই এই রকম অপরাধ করে থাকে তা হলে তার শাস্তি হওয়া উচিত।’ ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জানান, ‘মাদু মাঝি অল্প বয়সী ছেলেকে বিয়ে করিয়ে পুত্রবধূর সাথে ব্যাভিচার করে আসছে। সে শ্বশুর নামের কলঙ্ক ও জাহেলি যুগকেও হার মানিয়েছে। এই রকম অপরাধের জন্য তাকে কঠিন শাস্তি দেয়া উচিত। তবে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাদু মাঝি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে খঁজে পাওয়া যায়নি।’ এ ব্যাপারে ধলীগৌরনগর ইউপি চেয়ারম্যান হেদায়তুল ইসলাম মিন্টু জানান, ‘আমি স্থানীয় লোকজনের কাছে এরকম একটা ঘটনা শুনেছি। তারপর ঘটনার সত্যতা জানার জন্য ওই এলাকার সাবেক ৩ মেম্বারকে আমি দায়িত্ব দিয়েছি। তারা আমাকে এখনো কিছু জানায় নি।’ এ ব্যাপারে লালমোহন সহকারী পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।