Thu. Mar 13th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৫: দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা দেয়া উচিৎ। আল্লাহর দেয়া সকল নেয়ামতের যথাযথ শুকরিয়া আদায় করা হচ্ছে মানব জাতির উপর ফরজ। অন্যথায় সেই নেয়ামত উঠিয়ে নেয়া হয়। আর আল্লাহর নেয়ামতের অস্বীকারকারীর জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। এ কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, মানবজাতির জন্য দাঁত একটি বড় নেয়ামত। তাই দাঁতের প্রতি যত নেয়া প্রতিটি মানুষের জন্য অবশ্যই কর্তব্য। বর্তমান খাদ্য-দ্রব্যে বিভিন্ন জাতের দূষিত ও বিষাক্ত জীবাণু মেশানোর ফলে আজকাল কম-বেশি সবারই দাঁতের সমস্যা রয়েছে। ছোট-বড় সবাই কম-বেশি দাঁতের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে যাদের দাঁতে ব্যথা আছে, তারা অবশ্যই জানেন

Beautiful smile of a young woman on white background

ও বিষাক্ত। এর মধ্যে দাঁতের ক্যাভিটি বা পোকা ধরার সমস্যা খুবই বিরক্তিকর একটি বিষয়। দাঁতের ক্ষয় হয়ে যাওয়া এবং দাঁতে গর্তের সৃষ্টি হলেই খাওয়ার সময় অনেক যন্ত্রণা পোহাতে হয়। এছাড়াও ক্যাভিটি যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে রুট ক্যানেল না করানো ছাড়া উপায় থাকে না। তবে আমরা চাইলেই কিন্তু ক্যাভিটির সমস্যা থেকে খুব সহজে মুক্ত থাকতে পারি। একটু সতর্কতাই বদলে দিতে পারে পুরো চিত্রটি।দাঁতের পোকা ও ব্যথা প্রতিরোধে করণীয় :* অতিরিক্ত স্টার্চ ও রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমনÑ চিপস, পাউরুটি, পান্তা এবং অন্যান্য ক্র্যাকার থেকে দূরে থাকুন। ফলে ক্যাভিটি বা পোকার সমস্যাও দূরে থাকবে।* যে সকল কার্বোনেটেড সফটড্রিংকসে অনেক বেশি মাত্রার চিনি, ফসফরাস এবং কার্বনেশন যোগ রয়েছে তা একেবারেই পান করবেন না। এর পরিবর্তে তাজা ফলের রস পান করুন এবং অবশ্যই ফলের রস পানের পর মুখ পরিষ্কার রাখুন।* চিনিযুক্ত ক্যান্ডি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার বা কম খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং একান্তই যদি খেতে হয়, তবে এই ধরনের খাবার যা দাঁতে লেগে থাকার সম্ভাবনা বেশি খাওয়ার পরপরই দাঁত ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।* নিয়মিত ব্রাশ, ফ্লস এবং অ্যালকোহলমুক্ত মাউথওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার রাখুন। দাঁতের পাশাপাশি নজর দিন জিহ্Ÿার দিকেও। নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন জিহ্বা। তবেই দাঁতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারেন।* বাচ্চাদের ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্ক     থাকুন। বাচ্চাদের নরম দাঁতে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ হয়। তাই বাচ্চাদের নরম ব্রিসলের ব্রাশ ব্যবহার করতে দিন এবং টুথপিক ব্যবহার থেকে দূরে রাখুন। প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর বাচ্চাদের ব্রাশ বদলে দিন।* বড় ধরনের তেমন কিছু ছাড়া দাঁতের ডাক্তারের কাছে সচরাচর যাওয়া হয় না। তবুও একটু কষ্ট করে অন্তত বছরে ২-৩ বার ভালো ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত চেকআপ করান এবং দাঁতের যে কোনো সমস্যায় অবহেলা না করে যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।এছাড়া দাঁত অক্ষত রাখতে পেয়ারা পাতা, নিম পাতা, নিম গাছের শিকড় ও ডাল ব্যবহার করে দাঁতে মিসওয়াক করতে পারেন। যদি আপনার দাঁতে প্রচুর ব্যথা অনুভূত হয় তবে, একটি পেয়ারা পাতা নিয়ে পরিষ্কার করে ভালো করে চিবান। চিবিয়ে রস বের করুন। কারণ পেয়ারা পাতার রস দাঁতের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।কাজী এমএস এমরান কাদেরীসাংবাদিক, কলামিস্ট ও নিকাহ্ রেজিস্ট্রার, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।