খোলা বাজার২৪ ॥ বৃহস্পতিবার, ২২ অক্টোবর ২০১৫: ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে ওজন কমানো উচিৎ বাড়তি ওজনধারীদের। কারণ ৫০ লাখ মানুষকে নিয়ে করা নতুন এক গবেষণায় বাড়তি ওজন এবং ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। ডেইলি মেইল এক প্রতিবেদনে জানায়, লানজেট জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা অনুযায়ী শুধু ব্রিটেনেই প্রতিবছর ১২ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন বাড়তি ওজনের কারণে। গবেষকরা দেখেন, একজন ব্যক্তির বডি ম্যাস ইনডেক্স প্রতি পাঁচ পয়েন্ট বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জরায়ু ক্যান্সারের আশঙ্কা বেড়ে যায় ৬২ শতাংশ। আর কিডনি ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ে ২৫ শতাংশ। ওজন নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ এবং এনএইচএস কনসালটেন্ট স্যালি নরটন বলেন, “বাড়তি ওজনের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার একটি কারণ হতে পারে বাড়তি চর্বি আমাদের শরীরে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকেনা, তৈরি করে হরমোন। এর মধ্যে একটি হল ওয়েস্ট্রোজেন।” তিনি আরও বলেন, “মেনোপজের পর ডিম্বাশয় যখন হরমোন তৈরি করা বন্ধ করে দেয়, তখন চর্বিই হয় ওয়েস্ট্রোজেন হরমোনের একমাত্র উৎস। এ কারণে মেনোপজের আগে যেসব নারীদের ওজন বেশি তাদের টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ওয়েস্ট্রোজেন হরমোনের কারণেই এই টিউমার হয়।” বাড়তি চর্বির কারণে স্তন ক্যান্সারের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। এমনকি চিকিৎসাও অকার্যকর হয়ে যায় এই বাড়তি চর্বির কারণে। নরটন বলেন, “গর্ভাশয় ক্যান্সারের জন্যেও ৪১ শতাংশ দায়ি বাড়তি চর্বি।” পুরুষদের ক্ষেত্রে বাড়তি ওজনের কারণে অন্ত্রাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। নরটন বলেন, “যাদের কোমর ও নিতম্বের অনুপাত বেশি তাদের অন্ত্রাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি হওয়া, যা টাইপ-টু ডায়বেটিসে দেখা যায়, তার সঙ্গেও এর সম্পর্ক থাকতে পারে।” অন্ত্রাশয়ের ক্যান্সারের প্রায় ১০ শতাংশ বাড়তি ওজনের সঙ্গে সম্পর্কিত। বাড়তি ওজনের সঙ্গে সম্পর্ক আরেক ধরনের ক্যান্সার হল যকৃত ক্যান্সার।